যশোর প্রতিনিধি : দুই পাশের ‘শতবর্ষী’ গাছগুলো না কেটেই অক্টোবর মাসের শেষের দিকে শুরু হচ্ছে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পুননির্মাণ কাজ। দুই লেনের এ মহাসড়কের কাজ শুরুর প্রায় সব প্রক্রিয়া এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এই মহাসড়ক এক সময় যশোর রোড নামে পরিচিত ছিল। এই সড়ক ধরেই ভারতে যান হাজার হাজার বাংলাদেশি শরণার্থী। এ সড়কে শরণার্থীদের ঢল নিয়ে ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ কবিতা লিখেছিলেন মার্কিন কবি অ্যালান গিন্সবার্গ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন সমকালকে জানান, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষায় এ মহাসড়কের পাশের প্রাচীন গাছ রেখেই উন্নয়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, যশোর শহরের দড়াটানা থেকে বেনাপোল বন্দরের বাংলাদেশ অংশের নো-ম্যান্স ল্যান্ড পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটারের এ মহাসড়কটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে তিন শ’ ২৮ কোটি টাকা। দুটি প্যাকেজের মাধ্যমে কাজ চলবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে এ মহাসড়কের পুননির্মাণ কাজের দরপত্রপ্রাপ্তির পর তা মূল্যায়নের জন্যে ক্রয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। এবার অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে। এ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে কাজ শুরু হতে অক্টোবরের প্রায় শেষ সময় পর্যন্ত লেগে যাবে। ২০১৯ সালের শেষে এ মহাসড়কের পুননির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করছে সড়ক বিভাগ।

উল্লেখ্য, গত বছরের মাঝামাঝি দেশের গুরত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটি পুননির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সড়ক পাশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত শতবর্ষী গাছগুলো কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হওয়ায় এ নিয়ে আন্দোলন হয়। এক সময় তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ফলে পেরিয়ে যায় অনেক সময়। অবশেষে গাছ রেখেই সড়ক উন্নয়নের সিদ্ধান্ত হয়। তারপর এ নিয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়।

সড়ক বিভাগ জানায়, দুই লেনের এ মহাসড়কের প্রস্থ হবে সর্বোচ্চ ৩৪ ফুট। গাছ থাকার কারণে কোথাও কোথাও তা কমবে। সাড়ে চার থেকে পাঁচ ফুট গর্ত করে তা প্রথমে বালি এবং পরে বালি ও খোয়া, পাথর-বালি ও তারপর বিটুমিনাস সারফেস হবে। বিটুমিনাস সারফেসের পুরত্ব হবে ১২০ মিলিমিটার বা প্রায় ৫ ইঞ্চি।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/সেপ্টেম্বর ১২,২০১৮)