দ্য রিপোর্ট ডেস্ক :  দুই ক্যাটাগরির ঘূর্ণিঝড় ফ্লরেন্স ইতিমধ্যেই উত্তর ক্যারোলাইনার উপকূলে আঘাত হেনেছে যার প্রভাবে উপকূলীয় জনপদ হয়েছে বৃষ্টিস্নাত। দা ন্যাশনাল হারিকেন জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ১০০ মাইলের মত ।

ফ্লোরেন্সের প্রভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় হাজার হাজার মানুষ এখন ঘুট ঘুটে অন্ধকারে। খবর ভিওএ, সংবাদ প্রতিদিনের

আবহাওয়াবিদরা যে জলচ্ছ্বসের আশংকা করেছেন, তা উপকূলীয় এলাকাকে প্লাবিত করতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রায় ২০ লক্ষ জনগণকে বাধ্যতামূলকভাবে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। শনিবার অব্দি ১৫০০ টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের উদ্বেগ বাড়ছে যে ফ্লরেন্স ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ৩০ লাখ ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।



আমেরিকার ইতিহাসে অন্যতম ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় বলে চিহ্নিত করা হয়েছে ফ্লোরেন্সকে ৷ একে ‘ক্যাটাগরি-৫’ অর্থাৎ সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলে উল্লেখ করেছে মার্কিন আবহাওয়া দপ্তর ৷ যদিও হ্যারিকেন ফ্লোরেন্সের লড়াই করার ক্ষমতা তাঁদের রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ ক্যারোলিনাবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি৷ জানা গিয়েছে, ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার বেগে ক্যারোলিনার উপর আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়৷ ক্যারোলিনা ছাড়াও সতর্কতা জারি করা হয়েছে ভার্জিনিয়ার বেশ কিছু এলাকায়৷ যেকোনও ধরনের দুর্ঘটনা আটকাতে তৎপর প্রশাসন৷ ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত করা নাগরিকদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে অতিরিক্ত খাবার ও জলের৷ আপদকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি থাকতে বলা হয়েছে সেনাকে৷

আবহাওয়াবিদদের মতে, যেকোনও ঘূর্ণিঝড়ের শক্তিবৃদ্ধিতে সাহায্য করে উষ্ণতা ৷ তাপমাত্রা বাড়লে শক্তিবৃদ্ধি পায় ঝড়ের ৷ এক্ষেত্রে হ্যারিকেন ফ্লোরেন্সের যাত্রা পথের একটা বড় এলাকার উষ্ণতা ছিল ৩০ ডিগ্রি থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷ এই হ্যারিকেনের গতিপথে ছয়টি পারমাণবিক চুল্লি পড়তে চলেছে ৷ সেইগুলিকে রক্ষা করা প্রশাসনের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ৷

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/সেপ্টেম্বর ১৪,২০১৮)