দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অভিন্ন রূপরেখা ও কর্মসূচি চূড়ান্তে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) রাতে বসছেন বিএনপি, যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার শীর্ষ নেতারা।

যেসব দাবি ও লক্ষ্য সামনে রেখে তিন পক্ষ একসঙ্গে আন্দোলন, নির্বাচন করবে সেগুলো এদিন চূড়ান্ত হবে। একই সঙ্গে আন্দোলনের কর্মসূচিও ঠিক হবে। এরপর সংবাদ সম্মেলন বা সমাবেশ থেকে দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করা হবে।

বুধবার (১০ অক্টোবর) তারা বৈঠক করে একটি খসড়া তৈরি করেন। বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠকে এটি চূড়ান্ত হবে।

এ প্রসঙ্গে আবদুল মালেক রতন গণমাধ্যমকে জানান, আমাদের দাবি-দাওয়া প্রায় অভিন্ন। এ অবস্থায় আমরা দাবি ও লক্ষ্য ঠিক করে একসঙ্গে আন্দোলনে নামব।

জানা গেছে, ড. কামাল হোসেনের বাসায় অনুষ্ঠেয় বৈঠকে দাবি-দাওয়া ঠিক করার পাশাপাশি নির্বাচন-পরবর্তী লক্ষ্য নির্ধারণ, জোটের নাম এবং কর্মসূচি চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে।

জোটের একাধিক নাম বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, জাতীয় ঐক্যজোট, ঐক্যফ্রন্ট, জাতীয় ঐক্য প্রভৃতি নাম আলোচনায় রয়েছে। আন্দোলনের শক্তি বাড়াতে জামায়াতে ইসলামী বাদে বিএনপির জোটে থাকা বাকি দলগুলোকে বৃহত্তর এই জোটে যুক্ত করা হবে।

এ প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না গণমাধ্যমকেকে বলেন, ‘দাবি এবং লক্ষ্য ঠিক হলে নতুনভাবে নতুন জোটের ব্যানারে আমরা আন্দোলনে নামব।’

ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে দুই জোট অভিন্ন পাঁচ দফা এবং দেশ পরিচালনায় আরও নয় দফা লক্ষ্য উপস্থাপন করে।

এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর সমাবেশ করে বিএনপি সাত দফা দাবি এবং ১২ দফা লক্ষ্য উপস্থাপন করে। এতে দেখা গেছে তিন পক্ষের দাবি-দাওয়া কাছাকাছি। এ অবস্থায় বৃহত্তর ঐক্যের ব্যানারে আন্দোলনের আগে অভিন্ন দাবি ও লক্ষ্য চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।

সূত্র জানায়, এ সিদ্ধান্তের আলোকে তিন পক্ষের নয় নেতার সমন্বয়ে একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়।

এ কমিটির সদস্যরা প্রথমে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের গুলশানের বাসায় এবং পরদিন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রবের উত্তরার বাসায় বৈঠক করেন।

এ বৈঠকে বৃহত্তর ঐক্যকে এগিয়ে নিতে জোটবদ্ধ আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়ন, দাবি এবং লক্ষ্য ঠিক করার সিদ্ধান্ত হয়। যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ঘোষিত ৯ দফা লক্ষ্য এবং বিএনপির ১২ দফা লক্ষ্য সমন্বয় করে একটি অভিন্ন দাবি ও লক্ষ্য ঠিক করতে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন এবং গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিউল্লাহকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ১১, ২০১৮)