দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় তিতলি ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যার মাঝামাঝি এলাকায় আছড়ে পড়েছে। এটি স্থলভাগ দিয়ে উপরের দিকে সরতে সরতে দুর্বল হয়ে পড়ছে। সে কারণে এর কোনো বড় প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে ঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অন্ধ্র-উড়িষ্যা উপকূলে তিতলির তাণ্ডবের খবর দেয় স্থানীয় ও কলকাতাভিত্তিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলায় আঘাত হানার সময় তিতলির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত। অন্ধ্রে প্রলয়কাণ্ড চালিয়ে উত্তরের দিকে এসে উড়িষ্যার গানজাম জেলায় আছড়ে পড়ার সময় এর তীব্রতা কিছুটা কমে যায়। সেসময় এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০২ কিলোমিটার পর্যন্ত।

এদিন সকাল ৭টায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এটি আরও উত্তর/উত্তর-পশ্চিম অগ্রসর হয়ে পরবর্তী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, ভারতে স্থলভাগের উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রম করছে। স্থলভাগে থাকায় এটি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়বে। এর প্রভাবে শনিবার পর্যন্ত তিতলির প্রভাবে বৃষ্টি হবে। আপাতত বড় কোনো প্রভাব পড়বে না। চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারে ৪ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে সবশেষ আবহাওয়া পূর্বাভাস বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত হ্যারিক্যানের তীব্রতা সম্পন্ন প্রবল ঘূর্ণিঝড় তিতলি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ ভোররাতে গোপালপুরের নিকট দিয়ে ভারতের উড়িষ্যা-অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এটি আরও উত্তর/উত্তরপশ্চিম অগ্রসর হয়ে পরবর্তী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিঃ মিঃ এর মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিঃ মিঃ যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিঃ মিঃ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ১১, ২০১৮)