দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের নামাজে জানাজা নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় বিএনপি, ২০ দলীয় জোট, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী-সমর্থকসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।

এর আগে সকাল দশটায় তরিকুল ইসলামের লাশবাহী গাড়ি নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে আনা হয়। জানাজা শেষে দলের পক্ষ থেকে তরিকুলের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানান দলীয় নেতাকর্মীরা।

এসময় দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, আহমেদ আযম খান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।

জানাজা পড়ান জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহ মো. নেসারুল হক।

জানাজার আগে মির্জা ফখরুল বলেন, জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে, দলের দুঃসময়ে তরিকুল ইসলামের চলে যাওয়া জাতীর অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেলো। অন্যায়ের সঙ্গে তিনি কখনো আপস করেননি।

নয়াপল্টনে জানাজা শেষে তরিকুলের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে যশোরে। বাদ আছর যশোরের ঈদগাহ মাঠে তৃতীয় জানাজা শেষে যশোরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, রোববার বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর অ্যাপোলো হাসাপাতালে মারা যান বিএনপির এই বর্ষিয়ান নেতা।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ০৫, ২০১৮)