দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : দেড়শ রানের মধ্যে জিম্বাবুয়েকে আটকানোর লক্ষ্য বাংলাদেশের। প্রথম সেশনে সেই স্বপ্নে জ্বালানি জোগাতে পারেননি টাইগাররা। তবে লাঞ্চ বিরতির পর তাইজুল ইসলামের জোড়া আঘাতে ফের আশা বুনছেন তারা। ৪২ ওভারের পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে ফিরিয়ে দিয়েছেন ইনফর্ম শন উইলিয়ামস ও পিটার মুরকে।

শেষ খবর পর্যন্ত নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১২৫। এতে রোডেশিয়ানদের লিড দাঁড়িয়েছে ২৬৪ রান। ২০ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন সিকান্দার রাজা। ১ রান নিয়ে তার সঙ্গী সিকান্দার রাজা। এ লিডকে যথাসম্ভব বড় করার চেষ্টায় তারা।

দ্বিতীয় দিনের ১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ১ এবং ব্রায়ান চারি শূন্য রান নিয়ে খেলা শুরু করেন। সঙ্গে থাকে ১৪০ রানের লিডের আত্মবিশ্বাস। যত দ্রুত সম্ভব জিম্বাবুয়েকে অলআউট করার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটি ভাঙতে আপ্রাণ চেষ্টা চালান টাইগাররা। একটু বিলম্বে হলেও সাফল্য পান তারা। ব্রায়ান চারিকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে ফেরত পাঠান মেহেদী হাসান মিরাজ।

দলীয় ১৯ রানেই প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। কিন্তু তা আমলে না নিয়ে নেমেই স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটাতে থাকেন ব্রেন্ডন টেইলর। অতি রোমাঞ্চপ্রিয়তার খেসারতও দিতে হয় তাকে। মায়াবি ঘাতক তাইজুল ইসলামের শিকারে পরিণত হন তিনি। তবে এতে বোলারের যতটা না কৃতিত্ব তার চেয়েও বেশি ফিল্ডারের। দুর্দান্ত ক্যাচে অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানকে ফেরান ইমরুল কায়েস। মিড অফ থেকে অনেকটা দৌড়ে, পুরোটা সময় বলের দিকে চোখ রেখে দুহাতে দারুণ ক্যাচ নেন তিনি।

এতে দেড়শ রানের মধ্যে জিম্বাবুয়েকে আটকানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু বিধিবাম! সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও শন উইলিয়ামস। শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন তারা। ফলে টাইগারদের আশাও ফিকে হয়ে যায়।

তবে লাঞ্চ বিরতির পর পরই সাফল্য পান স্বাগতিকরা। দুর্দান্ত ডেলিভেরিতে শিকড় গেড়ে বসা মাসাকাদজাকে (৪৮) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ফেরান মিরাজ। এতে উইলিয়ামসের সঙ্গে ভাঙে তার ৫৪ রানের বিপজ্জনক জুটি। ফলে দেড়শের মধ্যে সফরকারীদের প্যাকেট করার স্বপ্ন বুনে বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ২৮২ রানের জবাবে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রতিরোধ গড়তে পারেননি কোনো টাইগার ব্যাটসম্যানই। ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে সর্বোচ্চ ৪১* রান করেন অভিষিক্ত আরিফুল হক। এছাড়া মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান।

দ্বিতীয় দিনে জিম্বাবুয়ে বোলারদের কোনোভাবেই পড়তে পারেননি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। টেন্ডাই চাতারা ও কাইল জার্ভিসের পেস এবং সিকান্দার রাজার স্পিনে নাকাল হন তারা। চাতারা ও রাজা নেন ৩টি করে উইকেট। ২ উইকেট শিকার করেন জার্ভিস। পরে ব্যাট করতেও নামেন সফরকারীরা। তারা ১ রান তুলতেই দিনের খেলা শেষ হয়। এতে ১৪০ রানের লিড নিয়ে মাঠ ছাড়েন মাসাকাদজা বাহিনী।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ০৫, ২০১৮)