দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : জয়ের দোরগোড়ায় ছিল বার্সেলোনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি স্প্যানিশ জায়ান্টরা। জয় না পেলেও কোনো সমস্যা হয়নি, সবার আগে চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে উঠে গেছে তারা।‘বি’ গ্রুপে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্রয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত হয়েছে আর্নেস্তো ভালভার্দের শিষ্যদের।

প্রথম লেগে গেল মাসে ক্যাম্প ন্যুতে ২-০ গোলে জয় পায় বার্সা। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে মঙ্গলবার সান সিরোয় আতিথ্য গ্রহণ করে দলটি। একাদশে ছিলেন না প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি। তবে সূচনাটা দারুণ করেন কাতালানরা। দ্বিতীয় মিনিটেই লিড পেতে পারতেন তারা। তবে উসমান ডেম্বেলের দূরপাল্লার শট কর্নারের বিনিময়ে প্রতিরোধ করেন গোলরক্ষক। ১০ মিনিট পর লুইস সুয়ারেজের নেয়া বজ্রগতির শট ক্রসবার ঘেঁষে চলে যায়।

এতদ সত্ত্বেও প্রথমার্ধের পরের সময়টা হতশ্রী পারফরম করে বার্সা। ইন্টার মিলানের খেলাতেও ছন্দ ছিল না। দুদলের খেলাই ছিল এলোমেলো ও গতিহীন। অতিথিরা আক্রমণে উঠেছেন ঠিকই, তবে প্রতিপক্ষের রক্ষণপ্রাচীর ভাঙতে পারেননি। অন্যদিকে পাল্টা আক্রমণে ওঠার চেষ্টাই ছিল না ইতালি ক্লাবটির। রক্ষণাত্মক ফুটবলেই মনোযোগ ছিল তাদের। ফলে গোলশূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে যায় উভয় দল।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে আক্রমণের গতি বাড়ায় বার্সা। দারুণ সব আক্রমণে বারবার ইন্টারের রক্ষণ ভেঙে ভেতরে ঢুকেন সুয়ারেজরা। ৬০ মিনিটে দারুণ সুযোগও পান তারা। তবে নিশানাভেদ করতে পারেননি ইভান রাকিতিচ।

পরেও আক্রমণের চাকা সচল রাখে বার্সা। এবার আর তাদের বিমুখ করেনি ফুটবলদেবী। ৮১ মিনিটে ডেম্বেলেকে বসিয়ে ম্যালকমকে নামান কোচ। ভালভার্দের আস্থার প্রতিদান দিতে মোটেও বিলম্ব করেননি তিনি। ফিলিপে কুতিনহোর বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে এক ঝটকায় সামনের ডিফেন্ডারকে পাস কাটিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এ ফরোয়ার্ড। ফলে মনে হচ্ছিল, পূর্ণাঙ্গ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ছেন ব্লাউগ্রানাররা।

কিন্তু না! নাটকের তখনও বাকি ছিল। ৮৭ মিনিটে বিদ্যুৎগতির শটে ঠিকানায় বল পাঠান ইনফর্ম মাউরো ইকার্দি। ফলে বার্সার এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ স্থায়ী হয় মাত্র ৪ মিনিট। শেষ পর্যন্ত ড্রতে সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুদলকে।

৪ ম্যাচে ৩ জয় ও ১ ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে এ গ্রুপে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্টার মিলানের পয়েন্ট ৭।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ০৭, ২০১৮)