দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য মেয়াদি নির্বাচনে ডেমক্র্যাটরা প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছে এবং রিপাবলিকানরা সেনেটে তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। এর ফলে কংগ্রেসে যে দ্বিদলীয় বিভাজন হলো, তাতে আগামি দু বছর, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কর্মসূচি আইনী অনুমোদন পেতে বাধাগ্রস্থ হবে। খবর ভোয়ার

এই প্রত্যাশিত ফলাফলে অন্তত ট্রাম্পের প্রতি আংশিক তিরস্কার ব্যক্ত করা হলো যিনি গোটা দেশে রিপাবলিকান প্রার্থিদের পক্ষে অসংখ্য নির্বাচনী সমাবেশ করেছেন এবং বার বার বলেছেন এই নির্বাচন হচ্ছে তাঁর প্রেসিডেন্ট পদের ব্যাপারে গণভোট।

ক্যালিফোর্নিয়ার, ডেমক্র্যাটিক নেতা ন্যান্সি পেলসি,ওয়াশিংটনে ডেমক্র্যাটিক পার্টির সদর দপ্তরে বিজয় বক্তব্যে বলেন,“ আজ হচ্ছে ডেমক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের বিষয়, এটি হচ্ছে সাংবিধানিক নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনার এবং ট্রাম্প প্রশাসনে ভারসাম্য বজায় রাখার উপলক্ষ্য।

গত আট বছরে এই প্রথম, প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে ডেমক্র্যাটরা, ট্রাম্পের আইনী অগ্রাধিকারের উপর নজরদারী ছাড়া আরও অনেক কিছু করতে পারবে। তারা প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে কোনরকম বাড়াবাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে । তারা গুরুত্বপূর্ণ এমন হাউজ কমিটিগুলোর দায়িত্ব নেবে যাদের কড়া তদন্ত করার ক্ষমতা রয়েছে । কোন কোন ডেমক্র্যাট বলছেন যে তারা এ ব্যাপারে তদন্ত করে দেখবেন যে ট্রাম্পের কোন ব্যক্তিগত ও আর্থিক স্বার্থের সংঘাত রয়েছে কী না সেটা জানার জন্য , তারা তার কর’এর কাগজপত্র, তার আর্থিক ও ব্যবসায়িক স্বার্থ এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনি অভিযানে রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতার বিষয়টিও তদন্ত করে দেখতে পারবেন।

তবে সেনেটের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে, রিপাবলিকানরা ট্রাম্পের বিচার বিভাগীয় এবং অন্যান্য প্রার্থিদের অনুমোদন দিতে পারবেন। রিপাবলিকান নের্তৃত্বাধীন সেনেট, ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যূত করার কংগ্রেসর উদ্যোগ ঠেকাতে পারবে, যদি ডেমক্রাটদের নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনে।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/নভেম্বর ০৭,২০১৮)