দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বিশ্ববাসীর দৃষ্টি যখন গত মাসের ব্যর্থ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দিকে, ঠিক সেসময় আরো সোয়া লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার ছাড়ার চেষ্টা করছে।

মিয়ানমারের ক্যাম্প থেকে তাদের নিজ বাড়িতে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হলে তারা দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য নৌকা ভাড়া করছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

ছয় বছর আগে রাখাইনের পশ্চিমাঞ্চলে স্থানীয় বৌদ্ধরা ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দিলে এক লাখ ২৮ হাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান নেয়। সেখানে চলতে থাকে তাদের জীবন যুদ্ধ।

সম্প্রতি দেশটির সরকার ক্যাম্প বন্ধ ঘোষণা করে এলাকার উন্নয়ন কাজে হাত দিয়েছে। ফলে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ বাড়িতে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ক্যাম্পের বসবাসকারীদের জন্যই তা উন্নয়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অং সান সু চি।

তবে রোহিঙ্গারা নিজেদের বাড়িতে ফেরত যেতে রাজি নয়। তাদের দাবি, ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় তাদের জন্য বসতি করা হোক। কারণ হিসেবে তারা বলেন, যেহেতু আমরা স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারি না, তাই আমরা কখনো নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবো না।

ক্যাম্পে সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি না দেয়ায় ফোনের মাধ্যমে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের কথা বলেন রয়টার্সের সাংবাদিকগণ।

মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মায়াত আয়ে বলেন, জাতীয় পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ স্থানচ্যুত ব্যক্তি বা আইডিপি হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের নিজ বাড়িতে ফেরত পাঠানোর জন্য কাজ করছে।

তিনি বলেন, তাদের বাস্তুচ্যুতদের রাখাইনে স্বাধীনভাবে চলাফেরায় কোন আইনি বাধা নেই। তারা ‘জাতীয় যাচাইকরণ কার্ড (আইডি কার্ড)’ গ্রহণ করেছে। এর ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তারা সমান সুবিধা পাচ্ছে।

মুসলিম রোহিঙ্গা ও সেবাদানকারী কর্মীরা বলছেন, যারা আইডি কার্ড নিয়েছে তাদেরও অনেক সমস্যা রয়েছে। বেশিরভাগ রোহিঙ্গা এই কার্ড প্রত্যাখ্যান করেছে।

তারা বলেন, আমাদের ভিনদেশী হিসেবে গণ্য করা হয়, তার মানে আমাদের জাতীয়তা প্রমাণ করতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ডিসেম্বর ০৭,২০১৮)