রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত নৌকা প্রতীকের কর্মী ইসমাইল হোসেন (৫০) মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (৩১ ডিসেম্বর ) ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যান তিনি।

নিহত ইসমাইল হোসেন গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়নের কাজিহাটা এলাকার আজাহার আলীর ছেলে। তিনি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। এছাড়া ইউনিয়ন কামারুজ্জামান স্মৃতিসংঘের সভাপতি ছিলেন তিনি।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। এনিয়ে পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

ওসি আরও বলেন, নির্বাচন চলাকালে রোববার দুপুর ১২টার দিকে দেওপাড়া ইউনিয়নের পালপুরে দু’পক্ষের সংঘাত হয়। এতে বিএনপি কর্মীদের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হন ইসমাইল।

মুমূর্ষু অবস্থায় তখনই তাকে রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর থেকেই হাসপাতালের নীবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি ছিলেন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

এর আগে রোববার নির্বাচনী সহিংসতায় জেলার তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুরে মোদাচ্ছের আলী (৪০) এবং মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের পাইকপাড়া পাকুড়িয়া এলাকায় মিরাজুল ইসলাম (৩০) মারা যান।

এদের মধ্যে মোদাচ্ছের আলী পাঁচন্দর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। আর মিরাজুল ইসলামকে নিজেদের কর্মী দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। তবে তিনি রাজনীতি করতেন না বলে দাবি করেছে পরিবার। এই দুই ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮)