কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানী, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার (৬ জানুয়ারি) দুপুর ১টার ২০ মিনিটে তার নামাজে জানাজা শেষ হওয়ার পর সর্বস্তরের জনগণ তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।

শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে আশরাফের নির্বাচনী এলাকাসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সর্বস্তরের জনতার অংশগ্রহণে জানাজা সম্পন্ন হয়। এজন্য ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে শোলাকিয়ায় নেওয়া হয় মরহুমের মরদেহ।

তার জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য সকাল থেকেই শোলাকিয়া ময়দানে জনসমাগম বাড়তে থাকে। বেলা ১২টা নাগাদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় শোলাকিয়া ময়দান।

এখানে আগত শোকাহত নেতাকর্মী ও জনতা বলছেন, তারা সৈয়দ আশরাফকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে এবং তার জানাজায় অংশ নিতে এসেছেন শোলাকিয়ায়। প্রিয় নেতার স্মরণে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের সব দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে আগে থেকে। কালো ব্যাজ ধারণ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ আশরাফের শুভানুধ্যায়ীরা।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সম্পন্ন হয়েছে সৈয়দ আশরাফের প্রথম নামাজে জানাজা। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদসহ সর্বস্তরের জনতার অংশগ্রহণে এ জানাজা শেষে মরহুমকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়।

এরপর তার মরদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তারপর মরহুমের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সংসদ ভবন প্লাজায় জানাজা শেষে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ হেলিকপ্টারে রওয়ানা করা হয় কিশোরগঞ্জে। শোলাকিয়া ঈদগাঁহ ময়দানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজার পর তার তৃতীয় জানাজা হবে দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাঁহ মাঠে। সেখান থেকে ফের ঢাকায় এনে বাদ আসর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে সৈয়দ আশরাফকে।

দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে গত ৩ জানুয়ারি রাতে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফ।

ব্যাংকক থেকে ৪ জানুয়ারি একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আনা হয় তার মরদেহ। বিমানবন্দর থেকে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সযোগে নিয়ে যাওয়া হয় তার বেইলি রোডের বাসায়। সেখানে মরহুমকে শেষশ্রদ্ধা নিবেদন করেন দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা-সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা।

এরপর তার মরদেহ নিয়ে রাখা হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে। সেখান থেকেই সকালে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জানুয়ারি ০৬, ২০১৯)