দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ১১ রানে মাশরাফির শিকার ৪ উইকেটটি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। রংপুর রাইডার্স অধিনায়কের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না তারকাখচিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ১৬.২ ওভারে মাত্র ৬৩ রানে অলআউট স্টিভেন স্মিথরা।

মঙ্গলবার বিপিএলের ষষ্ঠ ম্যাচে টস জিতে বোলিং নিতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি মাশরাফি। ফিল্ডিংয়ে নেমেই রংপুর কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে কুমিল্লার ব্যাটসম্যানদের। বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বোলিংয়ে সামনে শুরু থেকেই এলোমেলো কুমিল্লা। মাশরাফির বিধ্বংসী রূপটাই বেশি দেখেছে তারা। রংপুর অধিনায়ক গড়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচায় মাশরাফির শিকার ৪ উইকেট।

এর আগে ৪ ওভারে ১৯ রান খরচায় ৪ উইকেট ছিল এই পেসারের সেরা বোলিং। ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বেলফাস্টের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে করেছিলেন বিধ্বংসী এই বোলিং। বিপিএলে মঙ্গলবারের ম্যাচে আগের রেকর্ডটি নতুন করে লেখার পথে মাশরাফি আউট করেছেন তামিম ইকবাল (৪), এভিন লুইস (৮), ইমরুল কায়েস (২) ও স্টিভেন স্মিথকে (০)।

কুমিল্লার টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানই মাশরাফির শিকার। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের তোপে দিশেহারা কুমিল্লা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তার অসাধারণ বোলিংয়ের পর জ্বলে ওঠেন শফিউল ইসলাম ও নাজমুল ইসলাম। ৩ উইকেট শিকারি নাজমুল নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ শহীদ আফ্রিদির উইকেট। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান খেলেছেন দলীয় সর্বোচ্চ ২৫ রানের ইনিংস। ১৮ বলের ইনিংসে ৩ চারের সঙ্গে মেরেছেন এক ছক্কা। আফ্রিদিই শুধুমাত্র যেতে পেরেছেন দুই অঙ্কের ঘরে!

বল হাতে জ্বলে উঠেছিলেন শফিউল ইসলামও। শোয়েব মালিক (০) ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে (৭) প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছেন এই পেসার। অন্যদিকে ফরহাদ রেজা তার উইকেটের ঘর পূরণ করেন এনামুল হককে (২) সাজঘরে ফিরিয়ে। শফিউলের বোলিং ফিগারটা এমন- ২-১-৮-২।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জানুয়ারি ০৮, ২০১৯)