দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঢাকা বিমানবন্দরের কাস্টমস হাউজে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জুয়েল নামের এক যুবককে ঢাকায় এনে অপহরণ করে তারই বন্ধু আবু মুসা ওরফে প্রিন্স আল মুসা এবং কুরবান আলী ওরফে পথিক।

পরে পরিবারের কাছে চার লাখ টাকা দাবি করলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে ধরা পড়ে অপহরণকারী কুরবান আলী, উদ্ধার হয় অপহরণের শিকার জুয়েল।

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় একটি বেসরকারী কোম্পানিতে চাকরি করতেন নাটোরের বাসিন্দা জুয়েল আহম্মেদ (২২)। চাকরির সুবাদেই আবু মুসা ও কুরবান আলীর সঙ্গে পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়।

চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে গেলে কিছুদির পর জুয়েলকে ঢাকায় কাস্টমসে চাকরির প্রলোভন দেয় বন্ধু মুসা। জুয়েল রাজি হলে তাকে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র পাঠায় মুসা। চাকরিতে যোগদানের জন্য ঢাকায় আসলে সেই চাকরিদাতা বন্ধুদের মাধ্যমে অপহৃত হন তিনি।

এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান নামে র‌্যাব-২ সদস্যরা। এরপর মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার আশ্বাসে মঙ্গলবার রাতে তেজকুনী পাড়া থেকে কুরবান আলীকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ভিকটিম জুয়েলকে উদ্ধার করা হয় ।

র‌্যাব-২ এর অপারেশন অফিসার এএসপি সাইফুল মালিক জানান, চাকরির কথা বলে জুয়েলকে কুরবান আলীর নিজের বাসায় নিয়ে আটকে রেখে মারধর শুরু করে। হাতুড়ি ও ইলেকট্রিক তার দিয়ে শুরু হয় নির্যাতন। একপর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পরিবারের কাছে টাকা পাঠানোর কথা বলে। অপহরণকারীরা জুয়েল আহম্মেদের কাছে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অন্যথায় জুয়েলকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

এরপর পরিবার র‌্যাব-২ এর কাছে অভিযোগ করেন। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন সময় বিকাশে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। গোয়েন্দা নজরদারীর ভিত্তিতে তেজকুনি পাড়া থেকে মো. কুরবান আলীকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ভিকটিম জুয়েলকে উদ্ধার করা হয়।

আটক কুরবান আলী বন্ধু মুসার যোগসাজসে এই অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

আটক কুরবানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং পলাতক মুসাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এএসপি সাইফুল মালিক।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জানুয়ারি ০৯,২০১৯)