দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ওয়ানডে সিরিজে ছিলেন ‘সুপারফ্লপ’। তিন ম্যাচের কোনোটিতে নিজের দক্ষতার বিচ্ছুরণ ঘটাতে পারেননি। অবশেষে হাসল তার ব্যাট। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে হ্যামিল্টনে ঝড়ো সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। যেন ওয়ানডের ঝালই মেটালেন।

তবে যথারীতি ব্যর্থ বাকি ব্যাটসম্যানরা। ফলে ইনিংসটাও লম্বা হলো না। শেষদিকে রোবটের মতো চেষ্টা করলেন লিটন দাস। তাতেও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২৩৪ রানে গুটিয়ে গেছে সফরকারীরা।

টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তবে শুরুটা শুভ হয় টাইগারদের। উড়ন্ত সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল ও সাদমান ইসলাম। ৩২ বলে ২৪ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন সাদমান। এতে ভাঙে ৫৭ রানের উদ্বোধনী জুটি।

এরপর নতুন ব্যাটসম্যান মুমিনুল হককে দর্শক বানিয়ে শটের রোমাঞ্চ ছড়ান তামিম। ১৩ ওভারের প্রথম তিন বলে বোল্টকে টানা তিনটি চার মেরে মাত্র ৩৭ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। সতীর্থের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে তোলেন এ ওপেনার। তাতে দুরন্ত গতিতে ছুটছিল বাংলাদেশ।

তবে হঠাৎই খেই হারান মুমিনুল। দলীয় ১২১ রানে নিল ওয়েগনারের বলে বিজে ওয়াটলিংকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। পরে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন। তারই বলে টম লাথামকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এ টপঅর্ডার। ফের ব্যর্থ সৌম্য সরকার। তাৎক্ষণিক চাপের মধ্যে বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পারেননি তিনি। টিম সাউদিকে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন বাঁহাতি ব্যাটার।

পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন তামিম। পথিমধ্যে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। মাত্র ১০০ বলে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন ড্যাশিং ওপেনার। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি। অবশ্য সেঞ্চুরির পর খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেনন তামিম। আর ২৬ রান যোগ করে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে কেন উইলিয়ামসনকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

এ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছে পেসার এবাদত হোসেনের।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯)