দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ(ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে কুয়েত মৈত্রি হলে আগে থেকেই ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখার অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। সকালে তারা সিল দেয়া ব্যালট উদ্ধার করে বিক্ষোভ করলে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

জানা গেছে, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্রস চিহ্ন দেয়া ব্যালট পেপার নিয়ে হলের সামনে বিক্ষোভ করছেন। তারা বলছেন, ভোটগ্রহণ শুরুর আগে ভোটাররা ব্যালট পেপার দেখতে চান। কর্তৃপক্ষ তা দেখালে অস্বীকৃতি জানালে একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নিজেরাই অনুসন্ধান করে বস্তাবন্দি ব্যালট পেপার খুঁজে বের করে। তারপর সেইসব ব্যালট পেপার নিয়ে তারা হলের সামনে এসে বিক্ষোভ শুরু করে।

গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তারা ব্যালট পেপারগুলো তুলে ধরেন, যেগুলোতে আগে থেকেই সিল দেয়া ছিল। এই বিক্ষোভের মাঝেই মৈত্রী হলে প্রো-ভিসিরগাড়ি প্রবেশ করতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা এই সময় সিল দেয়া ব্যালট পেপারগুলো গাড়ির ওপর ছড়িয়ে দিয়ে প্রতিবাদ জানান। এসময় তারা ভোট বর্জন এবং জড়িতদের শাস্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। প্রো ভিসি শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন।

কুয়েত মৈত্রী হলে জিএস প্রার্থী আরশিয়া তাবাসসুম কাব্য অভিযোগ করেন, তারা এই ভোটগ্রহণ বর্জনের দাবি জানিয়েছেন। যে কারণে কুয়েত মৈত্রী হলে এই মুহূর্তে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় এমন ভোট জালিয়াতির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মসম্মান নষ্ট হয়েছে বলে বলছেন তিনি।

ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী গণমাধ্যমকে বলেছেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। এখন ভিসির সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনারও নিন্দা জানান তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ১১, ২০১৯)