কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ঘটনায় নিহত তিন বাংলাদেশির একজনের পরিচয় মিলেছে। ড. মো. আবদুস সামাদ নামের এই বাংলাদেশির বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মধুরহাইল্লা গ্রামে; তিনি মৃত জামাল উদ্দিন সরকারের ছেলে।

নিহত ড. মো. আবদুস সামাদের ছোট ভাই ও নাগেশ্বরী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক এ কে এম শামসুদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শামসুদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমরা নিউজিল্যান্ড থেকে মেসেজ পেয়েছি যে, আমাদের ভাই ড. মো. আবদুস সামাদ বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। তবে আমার ভাবি ও তাদের দুই ছেলে ভালো আছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই ড. সামাদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। গত ৮-১০ বছর ধরে স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেয়ে সেখানেই বসবাস করছিলেন তিনি। তবে মাঝে মাঝে তিনি দেশে আসতেন।’

নিহতের আরেক ছোট ভাই আব্দুল কাদেরের বরাত দিয়ে শামসুদ্দিন বলেন, ‘আমার ছোট ভাই কাদেরের সঙ্গে আমার ভাবির কথা হয়েছে। তিনি ও তাদের দুই ছেলে ভালো আছেন। আমরা আরও খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি।’

এদিকে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. সুলতান উদ্দিন ভুঞা জানিয়েছেন, ড. আবদুস সামাদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ছিলেন। তিনি গতবছর চাকরি থেকে ইস্তফা দেন।

প্রফেসর ড. সুলতান উদ্দিন ভুঞা আরও জানান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে লেখাপড়া শেষ করে ১৯৮০ সালে প্রফেসর ড. আবদুস সামাদ কৃষিতত্ত্ব বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। এর আগে তিনি একবছর বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে চাকরি করেছেন। চাকরিরত অবস্থায় ১৯৮৮ সালে তিনি নিউজিল্যান্ডের লিংকন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ওই সময় নিউজিল্যান্ডেই তার দুই ছেলের জন্ম হয়।

কৃষিতত্ত্ব বিভাগের আরেক প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘ড.আবদুস সামাদ, তার স্ত্রী ও ছেলেরা সবাই ধার্মিক। এভাবে সন্ত্রাসী হামলায় তিনি মারা যাবেন –এটা আমরা কেউ ভাবিনি।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ১৫, ২০১৯)