দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইরাকের মসুলে টাইগ্রিস নদীতে ফেরি ডুবে অন্তত ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই ফেরি ডুবিতে এখনও অর্ধশতের মতো মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।

হতাতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু বলে মসুলের সিভিল ডিফেন্স অথরিটির প্রধান হুসাম খলিল জানিয়েছেন।

তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ওই ফেরিতে ধারণ ক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি যাত্রী তোলা হয়েছিল। এটা সাধারণত ৫০ জন যাত্রী নিতে পারে। কিন্তু ঘটনার সময় ফেরিতে ২৫০ জন ছিলেন।

ঘটনার পর ওই ফেরির পাঁচজন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নিখোঁজদের সন্ধানে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

বিবিসি বলছে, নববর্ষ উদযাপনে ফেরিতে করে একটি পর্যটন দ্বীপে যাচ্ছিলেন আরোহীরা। তাদের অধিকাংশই পরিবারসহ যাত্রা করেছিলেন।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ রয়টার্সকে বলেন, আমি নদীর পাড়ের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছিলাম, তখন হঠাৎ করে ফেরিটি বাঁম ও ডান দিকে কাত হয়ে দুলতে থাকে। ফেরিটি ডোবার আগে যাত্রীরা চিৎকার করতে থাকেন।

নারী ও শিশুরা সাহায্যের জন্য হাত নাড়ছিল কিন্তু তাদের উদ্ধারের জন্য কেউ ছিল না। আমি সাঁতার জানি না। আমিও কিছু করতে পারি নাই। সেজন্য নিজেকে দোষী মনে হচ্ছে। চোখের সামনে লোকগুলো ডুবছিল।

পরে উদ্ধারকর্মীরা নদী থেকে ১২ জনকে উদ্ধার করেছেন বলে হুসাম খলিল জানিয়েছেন।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদি ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এক টুইটে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ঘোলা জলে ফেরিটি ডুবছে এবং মানুষ সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন।

নিহতদের মধ্যে অন্তত ৫২ জন নারী এবং ১৯ জন শিশু বলে হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।

জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের দখল এবং তাদের হটাতে সেনা অভিযানে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মসুল। এখনও সেখানে পরিকল্পিতভাবে পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়নি বলে রয়টার্সের তথ্য।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ২২, ২০১৯)