গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকায় তায়রুননেছা মেডিকেল কলেজ পড়ুয়া ভারতের কাশ্মীরি এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

তার নাম কুরআতুল আইন আলী (২৩)। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে অচেতন অবস্থায় হোস্টেল থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট ও মৃগী রোগে ভুগছিলেন কুরআতুল আইন। শুক্রবার রাতে কোনও একসময়ে ঘুমের মধ্যেই সে মারা যায়। বিষয়টি তার পরিবার ও ঢাকার ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।

গাজীপুরের গাছা থানার উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমান জানান, সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের খবর পেয়ে তারা জরুরি বিভাগ থেকে লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ওই শিক্ষার্থীর অসুস্থাজনিত কাগজপত্র দেখান। মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরে এপিলেপ্সি (মৃগী রোগ) রোগে ভুগছিল। সম্প্রতি সে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার কারণে শনিবার ভোরে খিচুনিতে মারা যায়।

উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা তার সহপাঠী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেও রোগের সত্যতা পেয়েছি। এছাড়া ঢাকার ইন্ডিয়ান হাইকমিশন থেকেও এ সংক্রান্ত একটি চিঠি এসেছে। সব প্রক্রিয়া শেষ করে লাশটি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।’

তায়রুননেছা মেডিকেল কলেজের ফিন্যান্স কর্মকর্তা সমীর দে জানান, ২০১৫ সালে কুরআতুল তাদের মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিল। সে এমবিবিএস ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিল। তার বাড়ি কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায়। সে দীর্ঘদিন ধরে মৃগী রোগে ভুগছিল।

তিনি আরও জানান, কুরআতুল আইন মেডিকেল কলেজের লিমা লেডিস হোস্টেলে থাকতেন। তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে লাশ দেশে নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক চিফ মিনিস্টার ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি মেহবুবা মুফতি এক টুইট বার্তায় কুরআতুল আইনের লাশ ফিরিয়ে নিতে সহযোগিতার জন্য ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুসমা স্বরাজের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন। ঢাকার ইন্ডিয়ান হাইকমিশন এক টুইট বার্তায় জরুরি ভিত্তিতে কুরআতুল আইনের লাশ ফেরত পাঠানোর জন্য বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/এপ্রিল ১৪, ২০১৯)