দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ঋণের ভারে জর্জরিত ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি এয়ারলাইন্স জেট এয়ারওয়েজ তাদের সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করেছে। ইজারা প্রতিষ্ঠানকে ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় বৃহস্পতিবার আরও ১০টি উড়োজাহাজকে গ্রাউন্ডেড রাখায় বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

বর্তমানে এই এয়ারলাইন্সের মাত্র ১৪টি বিমান এখন কাজ করছে। এগুলো এখন শুধু ঘরোয়া স্বল্প দূরত্বের রুটে চলাচল করছে। ভারতের বিভিন্ন বিমান সংস্থার মধ্যে জেট এয়ারওয়েজেরই বিমান সংখ্যা বর্তমানে সবচেয়ে কম।

আন্তর্জাতিক সেবা চালু রাখতে ভারতের যেকোনো এয়ারলাইনসকে তাদের বহরে অন্তত ২০টি উড়োজাহাজ রাখতে হয়। জেট এয়ারওয়েজের বিমান সংখ্যা এর চেয়ে কম হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি আর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে আগেই জানিয়েছিল বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়।

তবে এর আগে থেকে নিজে থেকেই সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করে দিয়েছে জেট এয়ারওয়েজ। তারা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের খরচ চালানোর সামর্থ্য তাদের নেই।
অংশীদারদের কাছ থেকে দেড় হাজার কোটির ইমার্জেন্সি ফান্ডিং না পেলে আর কতদিন ঘরোয়া ফ্লাইট জেট চালু রাখতে পারবে, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। মালিকানা বদল হলেও সব নিয়ম শেষ করে ফান্ড ঢুকতে ঢুকতে তিন থেকে চার মাস সময় লেগে যাবে। তবে ততদিন টিকে থাকার কঠিন জেট এয়ারওয়েজের পক্ষে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/এপ্রিল ১৪, ২০১৯)