রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে পিটানোর অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। মারধরে তার ডান হাতে গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

মারধরের শিকার শেখ ইউসুফ বাপ্পী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনিও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

মারধরে অভিযুক্তরা হলেন; সংস্কৃত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের জেমস, প্রথম বর্ষের আল-আমিন এবং রাজু। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা জেলা সমিতির অনুষ্ঠান উপলক্ষে রবীন্দ্র ভবনের ছাদে বাপ্পীসহ কয়েকজন নাচ-গানের অনুশীলন করতে গিয়েছিলেন। তখন আট-দশজন সেখানে এসে জেলা সমিতির সভাপতি নাজমুলকে পাশে ডেকে নিয়ে যান। পরে তারা বাপ্পীকেও ডাকেন। সেখানে উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা বাপ্পীর ওপর চড়াও হন এবং রড দিয়ে তার পিঠে ও হাতে আঘাত করে।

তবে মারধরকারী জেমসের কাছে জানতে চাইলে তিনি মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিভাগের ছোট ভাই আল-আমিনের সঙ্গে বাপ্পীর একটু ঝামেলা হয়েছিল। আমি, রাজু ও আল-আমিন সেই বিষয়টি নিয়েই কথা বলতে গিয়েছিলাম। আমাদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়েছে ঠিকই কিন্তু মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

এ বিষয়ে আল-আমিন ও রাজুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

মারধরের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। তাদের ডেকে নিয় মীমাংসা করে দিয়েছি।’

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/এপ্রিল ১৫,২০১৯)