দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনকে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বিএসইসি চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করতে হবে। এমন না হলে পুরো মতিঝিল জুড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ আরও ভয়ানক হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশীদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এ দাবি জানান।

পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতনে বিনিয়োগকারীদের নাভিশ্বাস। আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৬০ পয়েন্ট নেই। শেয়ারবাজারের এমন পতন মানতে পারছে না বিনিয়োগকারীরা। যে কারনে রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে তারা। অন্যান্য দিনের মতো আজও প্রতিবাদের জন্য রাজপথে নেমেছে বিনিয়োগকারীরা।

মিজানুর রশীদ বলেন, ‘ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজারের জন্য এখন বিনিয়োগকারীদের আস্থা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আর এই আস্থা ফিরে আসবে একমাত্র খায়রুল হোসেন পদত্যাগ করলে। যে পর্যন্ত শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে একজন নীতিবান বিনিয়োগবান্ধব মানুষ দায়িত্ব না নেবে, সে পর্যন্ত সাধারন বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে না, তাদের নিরব কান্না শেষ হবে না।’

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারকে তার অভীষ্ট লক্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খায়রুল হোসেনকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই দায়িত্বের অবহেলা করে নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ইস্যুয়ার কোম্পানির দালালী করছেন। যার প্রভাবে পুরো বাজার আজ ধংসের মুখে।

মানববন্ধনে এক সাধারন বিনিয়োগকারী বলেন, শেয়ারবাজারের অব্যাহত পতনের প্রতিবাদে গত সপ্তাহ থেকে আমরা রাস্তায় অবস্থান করছি। বাজারকে ঊর্ধ্বমুখী করার জন্য খায়রুল হোসেনের পদত্যাগসহ মোট ৬ টি দাবি জানিয়েছি। কিন্তু এ বিষয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই। এরকম চলতে থাকলে ২০১০ এর মত আরেকটা বড় ধসের সম্মুখীন হবে শেয়ারবাজার।

বিনিয়োগকারীরা বাজারের উন্নতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করে বলেন, দেশের অর্থনীতি এবং জনগনের স্বার্থে শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করতে এখন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ১৬, ২০১৯)