দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ৪২ জন নিহত ও ২৮০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইস্টার সানডে উদযাপন চলাকালে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল পৌনে নয়টার সময় তিনটি হোটেল ও তিনটি গির্জাসহ মোট ছয়টি বিস্ফোরণ ঘটে। এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহত ও আরও ২৮০ জন আহত হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স কলম্বোর ন্যাশনাল হাসপাতালের পরিচালকের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রোববার সকালের এ বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিহত এবং ২৮০ জন আহত হয়েছেন।

পরিচয়বিহীন এক সূত্রের বরাত দিয়ে ফ্রান্সভিত্তিক বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভয়াবহ সেসব বিস্ফোরণের পর রাজধানী কলম্বোর হাসপাতালে অন্তত ৮০ জন আহত ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রোববারে স্থানীয় সময় সকালে গির্জা ও হোটেলসহ মোট ছয়টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে শ্রীলঙ্কায়। তবে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

যে তিনটি গির্জায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেগুলো কোচকিকাদে, কাতুয়াপিটিয়া ও বাট্টিকালোয়া নামক স্থানে অবস্থিত। এসব গির্জায় ইস্টার সানডে উপলক্ষে অনুষ্ঠান চলছিল।

তাছাড়া রাজধানীর সাংগ্রি লা, দ্য কিন্নামোন এবং কিংসবারি নামক আরও তিনটি হোটেলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হোটেল তিনটি রাজধানী কলম্বোর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে, কাতুয়াপিটিয়াতে অবস্থিত সেন্ট সেবাস্তিয়ান নামক গির্জার ছাদ ধসে পড়েছে এবং গির্জার মূল স্থানে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ লেগে আছে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, নিহতদের মধ্যে বিদেশী পর্যটকও আছেন।

পুলিশ দুটি গির্জায় বিস্ফোরণের কথা জানিয়ে বলেছে, যে দুটি গির্জায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তার একটি কলম্বোতে অন্যটি রাজধানীর অদূরে অবস্থিত শহর নিগোম্বোতে অবস্থিত। বিস্ফোরণের প্রকৃতি সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

শ্রীলঙ্কা মূলত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদেরই দেশ। দেশটিতে খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের সংখ্যা মাত্র ছয় শতাংশ। ইস্টার সানডের প্রার্থনার কারণে গির্জাগুলোতে বেশ ভিড় ছিল। পুলিশ বলছে, হামলার জন্য এমন সময়কেই বেছে নিয়েছেন জঙ্গিরা।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/এপ্রিল ২১, ২০১৯)