দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : আইপিএলে শ্বাসরুদ্ধকর নাটকীয় ম্যাচে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর কাছে ১ রানে হেরেছে ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। ব্যাঙ্গালুরু ঘরের মাঠে রোববার (২১ এপ্রিল) প্রথমে ব্যাট করে ১৬০ রানের ভালো সংগ্রহ পায়। জবাবে ব‌্যাট করতে নামা ধোনীর দল চেন্নাই সুপার কিংস ২৮ রানে হারায় ৪ উইকেট। ম্যাচ এক প্রকার শুরুতেই তাদের হাতছাড়া হয়ে যায়। কিন্তু ব্যাটে তখনও এমএস ধোনী টিকে ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন আম্বাতি রাইডু। শেষ ধরে নেওয়ার সুযোগ তাই ছিল না।

ধোনীও এক মুহূর্তের জন্য ম্যাচ শেষ হতে দেননি। বিরাট কোহলিকে স্বস্তিতে থাকতে দেননি শেষ বল পর্যন্ত। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ধোনীর চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ২৬ রান। ক্রিজে তখনও ধোনী। সঙ্গে শার্দুল ঠাকুর। স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ধোনীর অংক কষা শেষ। যা করার একার হাতেই করতে হবে। সেভাবেই ব্যাট করা শুরু করেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক।

শেষ ওভারে বল করতে আসা ব্যাঙ্গালুরুর উমেশ যাদবের প্রথম বলে মারেন চার। পরের বলে ছক্কা। তৃতীয় বলে আবার ছক্কা। ম্যাচ তখন ধোনীর নাগালে চলে এসেছে। চতুর্থ বল থেকে দুই রান নেন চেন্নাই অধিনায়ক। দুই বলে আট রান দরকার দলের। পঞ্চম বলে ধোনী হাঁকান ছক্কা। শেষ বলে জয়ের জন্য চেন্নাইয়ের দুই রান দরকার।

আগের পাঁচ বলে ২৪ রান নেওয়া ধোনীর জন্য এ আর এমন কি! কিন্তু ধোনী পারলেন না। শেষ বলটা ব্যাটেই লাগাতে পারলেন না। দৌড়ে রান নেওয়ার জন্য ছুটলেন শার্দুল। কিন্তু তিনি রান আউট হয়ে গেলেন। এক রানে হারল ধোনীর চেন্নাই।

ধোনী এ ম্যাচে টি-২০ ক্যারিয়ার সেরা ৮৪ রান করেন। কিন্তু পরাজিত দলে তিনি। গেল আসরে পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৭৯ রানে অপরাজিত থেকেও হারেন ধোনী। ২০১৭ সালের পর আইপিএল ফেরা চেন্নাই প্রথম টানা দু্ই ম্যাচ হারল। এ ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে পার্থিব প্যাটেলের ৫৩, ভিলিয়ার্সের ২৫, আকসদীপ নাথের ২৪ এবং মঈন আলীর ২৬ রানের সুবাদে ১৬০ রান করে ব্যাঙ্গালুর। ধোনী ছাড়া চেন্নাইয়ের রাইডু করেন ২৯ রান। জাদেজা করেন ১১ রান। বাকি সবাই ব্যর্থ হন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ২২, ২০১৯)