দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সারাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) থেকে শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ১৩ মে পর্যন্ত কয়েক ধাপে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করবে ইসির নিয়োগ করা তথ্য সংগ্রহকারীরা। ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের সময় রোহিঙ্গা ও অবাঞ্চিত ব্যক্তির তথ্য যাতে কোনোভাবেই সংগ্রহ করা না হয়, সেদিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকাসহ বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

রোববার (২১ এপ্রিল) ইসির সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সব জেলা/সিনিয়র জেলা ও উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম, ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম, ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম, এবং ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম- এমন ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

এবার প্রথমবারের মতো হিজড়াদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, গত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন, তাদের তথ্য নিবন্ধনের জন্য সংগ্রহ করতে হবে, ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারের নাম বাদ দিতে হবে, বাসস্থান পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তরের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, তথ্য সংগ্রহের সময় কোনো ব্যক্তির তথ্য ফরম পূরণের আগে তিনি ইতিপূর্বে ভোটার হয়েছেন কি না তা অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে, বাদ পড়া ভোটারদের ক্ষেত্রে বাদ পড়ার কারণ যাচাই করে নিশ্চিত হতে হবে।

কোনো ব্যক্তির নামের আগে বা পরে পেশা, খেতাব, অর্জিত পদবি, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি সংযুক্ত না করা, ভোটারযোগ্য ব্যক্তির বাংলা নামের ইংরেজি বানান যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা, বাড়ি বাড়ি যাওয়ার সময় ভোটারযোগ্য অনুপস্থিত ব্যক্তিদের তথ্য অবশ্যই রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

নিবন্ধন কেন্দ্রে আসার জন্য নিবন্ধন স্লিপ (ফরম-৫) ফরম পূরণের সঙ্গে সঙ্গে দেয়া, তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রতিদিনের তথ্য সংগ্রহের কাজ তদারকি ও নমুনা যাচাই করবেন সুপারভাইজার। তারা তথ্য সংগ্রহকারীর পূরণ করা ফরমের কিছু অংশ দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুদ্ধতা যাচাই করবেন এবং কোনো ভুল ধরা পড়লে তা শুদ্ধ করবেন।

ভোটারযোগ্য নারীদের নিবন্ধনের বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করা, এটা তা তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার নিশ্চিত করবেন, নিবন্ধন ফরম পূরণকারীদের নিবন্ধন কেন্দ্রে উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

বিশেষ এলাকার জন্য তথ্য ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দেয়া এবং ফরম পূরণের সময় সংশ্লিষ্ট তথ্য যাচাই করে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিশেষ এলাকাগুলোর জন্য তথা ফরম-২ এর সঙ্গে বিশেষ তথ্য ফরম পূরণ করতে হবে।

এক এলাকা হতে অন্য এলাকায় নাম স্থানান্তরের আবেদন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ ভোটারকে রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে।

মৃত ভোটারের নাম কাটার জন্য ফরম-১২ এ তথ্য সংগ্রহের সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যাতে কোনোভাবেই জীবিত ভোটারের নাম মৃত হিসেবে সংগ্রহ করা না হয়। এজন্য সতর্ক থাকতে হবে।

তথ্য সংগ্রহকারী ও শনাক্তকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর সুস্পষ্টভাবে লিখতে হবে এবং কোনোভাবেই যেন অপ্রাপ্তবয়স্ক, রোহিঙ্গা ও অবাঞ্চিত ব্যক্তিদের তথ্য সংগৃহীত না হয়, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ২২, ২০১৯)