দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম একটুও বাড়বে না,বরং গত বছরের তুলনায় এবার রমজানে দাম কমবে।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীতে রমজানের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চিনি, মসুর ডাল, ছোলা, তেল ও আটা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ডিএসসিসি মেয়র এ ঘোষণা দেন। সকাল ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ডিএসসিসির মিলনায়তনে এ বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এবার পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুদ রয়েছে। যা দিয়ে আমাদের আসন্ন রমজানের পরও সামনের পূঁজাতেও সরবরাহ করতে পারবেন তারা। সুতরাং আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, বিশেষ করে ছোলা, চিনি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও আটাসহ অতি প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের মূল্য কোনোক্রমেই গত বছরের চেয়ে এ বছর বাড়বে না।’
তিনি বলেন, “ডিএসসিসির আওতাধীন এলাকার কাঁচাবাজারগুলোতে দ্রব্যের মূল্য যাতে লাগামহীন না হয় সেজন্য মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মধ্য দিয়ে কোনও অসাধু ব্যবসায়ী যেন মূল্য বৃদ্ধি করতে না পারেন সেজন্য ডিএসসিসি ‘শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি’ অবলম্বন করবে। সেইসঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ সময় সিটি গ্রুপের চেয়ার ফজলুর রহমান বলেন, ‘বাজারে বিভিন্ন প্রকারের ছোলা বিক্রি হয়। যেগুলো দেখতে একেবারেই পরিষ্কার সেগুলো ৯০-৯৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। কিন্তু যেসব ছোলা নরমাল বা দেখতে একটু কালচে সেগুলো পাইকারি ও খুচরাভেদে ৫৫-৬২ টাকা বিক্রি হয়। একইভাবে তেল ও মসুর ডালের ক্ষেত্রেও তা বিদ্যমান। তাই বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বিষয়টি বলার আগে অবশ্যই আপনাদের (ক্রেতাসাধারণ) দেখতে হবে যে কোন দ্রব্যটির দাম কী।’ এ জন্য মূল্য তালিকা সংগ্রহ করারও পরামর্শ দেন তিনি।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আবুল হাসেম, বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা প্রমুখ।