নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের ওয়াপদা গেটে যাত্রীবাহী কোচের ধাক্কায় ইজিবাইক চালকসহ তিনজন ও ডোমার উপজেলার পাঙ্গামটকপুরে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে নীলফামারীগামী একটি যাত্রীবাহী কোচ নীলফামারী সড়কের সৈয়দপুর ওয়াপদা গেটের সামনে ওভারটেক করার সময় পেছন দিক থেকে চলন্ত ইজিবাইকটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ইজিবাইকচালক মিন্টু হোসেন (৩৫)।

ইজিবাইকে থাকা দুই যাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে আফতাব হোসেন (৪০)ও আব্দুর রহিমকে (৩৫) চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত তিনজনই নীলফামারীর ঢেলাপীর উত্তরা আবাসনের বাসিন্দা বলে পুলিশ জানায়। এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়ক দুইঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। পরে প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।

অপরদিকে, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মিজানুর রহমান মিজান (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বেলা ১১টায় রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত মিজান পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ফুলবাড়ি এলাকার মৃত হাসেম হাওলাদারের ছেলে ও ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী কবীর ইসলামে ছোট ভাই। তিনি গত ৩০ এপ্রিল মোটরসাইকেলে ডোমার উপজেলা থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এসময় ডোমার পাঙ্গামটকপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করলে পরে তাকে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার তিনদিনের মাথায় তার মৃত্যু হয়। সৈয়দপুর থানা পুলিশের ওসি শাহজাহান পাশা জানান, ঘাতক কোচ ও চালককে চিন্হিত করার চেষ্টা চলছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ০৩, ২০১৯)