দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: এতোদিন শুধু তৈরি পোশাক খাতকে শতভাগ রফতানিমুখীর জন্য শুল্কমুক্ত বা বন্ড সুবিধার আওতায় কাঁচামাল আমদানির সুবিধা দিয়েছিল সরকার। তবে আগামীতে এগ্রো প্রসেসিং, চামড়াজাত পণ্য, পেপার, কেমিক্যালসহ কয়েকটি খাতকে এর আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে।

রোববার রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) অফিসে ‘ইমপ্রুভ ট্রেড অ্যান্ড বন্ডেড ওয়্যারহাউস পলিসিজ’ বিষয়ক কর্মশালায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এ তথ্য জানান। ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, তৈরি পোশাক খাতে এতো প্রবৃদ্ধির পেছনে বন্ড সুবিধাসহ বিভিন্ন প্রণোদনার ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে দেশের মোট রফতানির ৮৫ ভাগ আয় আসে তৈরি পোশাক থেকে। পাশাপাশি আমরা অন্যান্য পণ্যের রফতানিও বাড়াতে চায়। এজন্য এগ্রো প্রসেসিং, চামড়াজাত পণ্য, পেপার, কেমিক্যালসহ কয়েক খাতকে বন্ডেড ওয়্যারের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এক্ষত্রে কিছু সমস্যার কথা জনিয়ে তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বন্ড সুবিধার আওতায় কাঁচামাল এনে পণ্য তৈরি করে তা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছে। এতে প্রকৃত উদ্যোক্তা যেমন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে। তাই বন্ড সুবিধার অপব্যবহার রোধে কঠোর নজরদারি শুরু করেছে রাজস্ব বোর্ডের কাস্টম বন্ড কমিশনারেট। ইতোমধ্যে তারা ৫৯টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল ও স্থগিত করেছে । অদূর ভবিষ্যতে বন্ড সুবিধা প্রদানের পুরো সিস্টেম অটোমেশনের আওতায় এনে মনিটরিং করার চিন্তা করছে এনবিআর। এতে এর অপব্যবহার রোধ অনেকাংশে সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, দেশের শতভাগ রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠানকে কাঁচামাল আমদানিতে বন্ড (শুল্কমুক্ত) সুবিধা দেয় সরকার। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এসব কাঁচামাল স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন। দীর্ঘদিন ধরে শুল্কমুক্ত পণ্যের অপব্যবহার করে আসছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। বন্ড কর্মকর্তারা একাধিকবার সতর্ক এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নিলেও অপব্যবহার ঠেকানো যাচ্ছে না। অনিয়মে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ০৫, ২০১৯)