দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : হ্যাটট্রিকম্যান লুকাস মোউরাআয়াক্স রুপকথা থামালো টটেনহাম। লুকাস মোউরার হ্যাটট্রিকে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জিতে ইতিহাস লিখেছে ইংলিশ ক্লাবটি। নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তারা পৌঁছে গেছে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে।

বুধবার (৮ মে) আমস্টারডামে ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও মোউরার হ্যাটট্রিকে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ ৩-২ ব্যবধানে জিতেছে টটেনহাম। যাতে অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে ইংলিশ ক্লাবটি। ঘরের মাঠের প্রথম লেগ ১-০ গোলে হেরেছিল স্পাররা, ফিরতি লেগ ৩-২ গোলে জেতায় দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন হয় ৩-৩। তবে আয়াক্সের মাঠে বেশি গোল দেওয়ার সুবিধা নিয়ে টটেনহাম চলে যায় ফাইনালে।

মাদ্রিদের ওয়ান্দা মেত্রোপোলিতানোর শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চ তাই হয়ে গেল ‘অল ইংলিশ’ ফাইনাল। ১ জুনের ফাইনালে টটেনহাম মুখোমুখি হবে লিভারপুলের, যারা আগের দিন রুপকথার জন্ম দিয়ে বার্সেলোনা হারিয়ে উঠেছে ফাইনালে।

উত্তেজনায় ঠাসা আমস্টারডাম অ্যারেনায় ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে রুপকথা লিখলেন মোউরা। আগেই জোড়া গোল করে আশা জাগিয়ে রেখেছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। তবে ইনজুরি টাইমের ষষ্ঠ মিনিটের গোলটি না করলে আগের দুই গোলের কোনও মানেই থাকতো না। তার বাঁ পায়ের আড়াআড়ি শটে জালে আশ্রয় নেওয়া বলটি আয়াক্সের সমর্থকদের গায়ে বিধঁলো কাঁটা হয়ে, আর টটেনহাম সমর্থকদের হৃদয়ে ফুটলো ফুল হয়ে।

রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাসকে বিদায় করে সেমিফাইনালে নাম লেখানো আয়াক্স নতুন শক্তি হয়ে ধরা দেয় এবার ইউরোপিয়ান ফুটবলে। ২৩ বছর পর আবারও ফাইনাল খেলার স্বপ্ন তাদের উঁকি মারে টটেনহামের মাঠ থেকে ১-০ গোলে জিতে ফেরায়। কিন্তু ঘরের মাঠে মোউরার হ্যাটট্রিকে শেষ হলো তাদের রুপকথার পথচলা।

অথচ ম্যাচ ঘড়ির পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল আয়াক্স মাথিস ডি লিটের লক্ষ্যভেদে। ফাইনালের সুবাস তারা আরও পেতে থাকে ৩৫ মিনিটে হাকিম জিয়েখের লক্ষ্যভেদে ব্যবধান দ্বিগুণ করলে। টটেনহামের ফাইনাল স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে তখন দিতে হবে ৩ গোল!

বিরতি থেকে এসে চার মিনিটের এক ঝড়ে কঠিন সেই সমীকরণ মিলিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা জাগায় স্পার্স। ৫৫ মিনিটে প্রথমবার জাল খুঁজে পাওয়া মোউরা ৫৯ মিনিটে দারুণ লক্ষ্যভেদে সমতায় ফেরান সফরকারীদের।

কিন্তু স্কোরলাইন ২-২ থাকলেও দুই লেগের হিসাবে তখনও ফাইনালে পথে এগিয়ে আয়াক্স। নির্ধারিত সময়ের শেষ পর্যন্ত লড়াই করে স্কোরলাইন ওটাই রেখেছিল আয়াক্স। কিন্তু ৬ মিনিটের ইনজুরি টাইমের শেষ দিকে আর রক্ষা হয়নি। একেবারে শেষ মুহূর্তে বাঁ পায়ের চমৎকার শটে মোউরা শুধু হ্যাটট্রিক পূরণ করলেন না, টটেনহামকে দিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের স্বাদ।

সূত্র: গোল ডটকম।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ০৯, ২০১৯)