দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আজ সোমবার থেকে তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে দেশটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।

নিউজিল্যান্ডের রয়াল কমিশন পরিচালিত এ তদন্তে মসজিদে হামলা চালানো বন্দুকধারী সন্ত্রাসীর কার্যকলাপ, হামলায় অনলাইন সামাজিক যোগাযগ মাধ্যমের ব্যবহার, হামলাকারীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিসরের বিভিন্ন সংযোগ ও প্রাধান্যের পাশাপাশি সন্ত্রাস মোকাবেলায় কোনো ধরনের খামতি ছিল কিনা এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।

তদন্তের ব্যাপারে এক বিবৃতিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, ‘আর কখনও যাতে এরকম হামলার ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে এ তদন্তের ফলাফল কাজে আসবে।’

রয়াল কমিশন নিজেদের ওয়েবসাইটে জানায়, তদন্ত কমিটি চলতি বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত ক্রাইস্টচার্চ হামলা বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবে। ডিসেম্বরের ১০ তারিখে তারা সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এদিকে এ তদন্তের ব্যাপারে বিস্তারিত জানার ব্যাপারে আগ্রহ জানিয়েছে দেশটির মুসিলম সম্প্রদায়।

ওয়েলিংটনভিত্তিক কমিউনিটি অ্যাডভোকেট গুলেদ মায়ার বলেন, ‘আমাদের মুসলিম কম্যুনিটির অনেকেই শুনানির প্রক্রিয়া সম্বন্ধে কোনো তথ্যই পাননি। ফলে অনেকেই এটা থেকে খুবই বিচ্ছিন্ন বোধ করছেন।’

‘মূলত আমরা চাই যে, আমাদের কথা উপেক্ষা না করে শোনা হোক। আশা করি, মুসলিম কমিউনিটির সদস্যদের সরাসরি তথ্য পৌঁছানোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে’, বলেন গুলেদ। এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে রয়াল কমিশনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে এরই মাঝে আগামী বুধবারে ফ্রান্সে অনলাইনে সহিংসতা নিরসনে বৈশ্বিকভাবে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে এক বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো ও জেসিন্ডার আয়োজনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিশ্ব নেতাদের পাশাপাশি ফেসবুক, গুগল, টুইটারসহ অনলাইন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা এতে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

গত ১৫ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫১ জনকে হত্যা করেন। ব্রেন্টন সে সময় অনলাইনে সরাসরি ওই হামলার ভিডিও সম্প্রচার করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ১৩, ২০১৯)