দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ বলেছেন, ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে মারামারি অত্যন্ত সামান্য ঘটনা। এটা নিয়ে খুব বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করার কিছু নেই। আশা করি, সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা এটা ঠিক করতে পারবেন। তারা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের সংগঠনের কাজ করবেন।

মঙ্গলবার দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দলের সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাহবুবউল-আলম হানিফ এসব কথা বলেন। ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দল ও সহযোগী-ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের কর্মসূচি ঠিক করতে এই যৌথসভা ডাকা হয়।

মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের মারামারি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ সংগঠন। যে সংগঠনের লাখ লাখ নেতাকর্মী মুজিব আদর্শের সৈনিক হিসেবে আছেন। এমন একটি সংগঠন যার হাজার হাজার নেতাকর্মী আছেন, লাখ লাখ নেতাকর্মী আছেন- তাদের মধ্যে যোগ্য নেতারা সবাই পদ-পদবীর প্রত্যাশা করেন। কিন্তু সবাইকে তো আর পদ পদবী দেওয়া সম্ভব হয় না। সেই সুযোগও হয় না। কারণ পদের সংখ্যা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় থেমে যায়। স্বাভাবিকভাবেই কমিটি হওয়ার পর সবাই যখন কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হন না, তখন কিছু ব্যক্তির মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রায় সব জায়গায় এমন একটা পরিস্থিতি দেখা যায়।

তিনি বলেন, আর যেহেতু ছাত্রসমাজ তরুণ। তাদের মধ্যে হয়ত ক্ষোভটা কোনো কোনো সময় একটু বেশি আকারে দেখা যায়। এছাড়া ছাত্রলীগের অনেকে ভেবেছিলেন বড় পদ পাবেন, সেটা হয়ত পাননি। তারা হয়ত অপেক্ষাকৃত ছোট পদ পেয়েছেন। এই ধরনের দুই একজনের ক্ষোভ থাকতে পারে।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, আশা করছি, সংগঠনকে তৃণমূল পর্যন্ত ঢেলে সাজিয়ে জাতীয় কাউন্সিল করতে পারবো। যথাসময়ে অক্টোবরেই এই কাউন্সিল সম্পন্ন হবে। পাশাপাশি দলের যেসব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন আছে, যেসব সংগঠনের মেয়াদ শেষ হয়ে এসেছে কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে- তাদেরও কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার জন্য যৌথসভা থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারাও তৃণমূল পর্যন্ত তাদের সংগঠনকে ঢেলে সাজিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাউন্সিল শেষ করতে পারবে বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, ঈদের পর ডিজিটাল ডাটাবেজ নিয়ে আওয়ামী লীগের সারাদেশের সংগঠনের দপ্তর সম্পাদকদের নিয়ে ঢাকায় একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় উপস্থিত থাকবেন।

হানিফ জানান, ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দলসহ সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলো আলোচনা সভাসহ মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলে বিমানবন্দরে তাকে দলের পক্ষ থেকে অভ্যর্থনা জানানো হবে।

হানিফের সভাপতিত্বে যৌথসভায় দল ও সহযোগী-ভাতৃপ্রতীম সংগঠন নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ফরিদুন্নাহার লাইলী, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, প্রকৌশলী আবদুস সবুর, দেলোয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আখতারুজ্জামান, সাফিয়া খাতুন, মাহমুদা বেগম কৃক, নাজমা আকতার, অপু উকিল, গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ মে ১৪,২০১৯)