দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পরীক্ষায় প্রমাণিত ভেজাল ও নিম্নমাণের সেই ৫২টি খাদ্যপণ্যের মধ্যে সাতটির উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই)। এছাড়া ১৮টি পণ্য উৎপাদনের অনুমোদন স্থগিত করা হয়েছে। মনোন্নয়ন করে আবার লাইসেন্স গ্রহণের আগে এসব পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ এমনকি খুচরা বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার বিএসটিআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি এর সংরক্ষণ ও বাণিজ্যিক প্রচার বন্ধ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

লাইসেন্স বাতিল হওয়া কোম্পানিগুলোর তালিকা : ড্রিংকিং ওয়াটারের মধ্যে আল সাফি ড্রিংকিং ওয়াটার, শাহারী অ্যান্ড ব্রাদার্স, মর্ন ডিউ পিওর ড্রিংকিং ওয়াটার; সফট ড্রিংকের মধ্যে শান্তা ফুড প্রডাক্ট, জাহাঙ্গীর ফুড প্রডাক্টস এবং ঘি এর মধ্যে বনলতা সুইটস অ্যান্ড বেকারি। সরিষার তেলে সিটি অয়েল মিল-গাজীপুর (তীর), গ্রিন ব্লিসিং ভেজিটেবল অয়েল-নারায়ণগঞ্জ (জিবি), শবনম ভেজিটেবল অয়েল-নারায়ণগঞ্জ (পুষ্টি), বাংলাদেশ এডিবল অয়েল-নারায়ণগঞ্জ (রূপচাঁদা); সুপেয় পানির মধ্যে আররা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ (আররা), ডানকান প্রোডাক্ট (ডানকান), দিঘী ড্রিংকিং ওয়াটার (দিঘী); প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের প্রাণ ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই; হলুদের গুড়ার মধ্যে ড্যানিশ, প্রাণ ও ফ্রেশ। কারী পাউডারের মধ্যে প্রাণ ও ড্যানিশ; আয়োডিনযুক্ত লবণের মধ্যে এসিআই ও মোল্লা সল্ট; ধনিয়া গুড়ার মধ্যে এসিআই পিওর, নুডলসের মধ্যে নিউ জিল্যান্ড ডেইরির ডুডলস এবং চিপসের মধ্যে কাশেম ফুডের সান ব্র্যান্ড রয়েছে।

বিএসটিআইয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোজা শুরুর আগে বাজারে গোপন অভিযান চালিয়ে ৪০৬টি পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এসব পণ্যের মধ্যে ৫২টি পণ্য নিম্নমানের হিসাবে চিহ্নিত হয় ল্যাবরেটরি পরীক্ষায়। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট বিপণন কোম্পানিগুলোকে এ নিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ১৫, ২০১৯)