দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি এ প্রান্তিকে কর পরবর্তী নিট মুনাফা অর্জন করেছে ৫৫.৮৪ কোটি টাকা। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি।

গণমাধ্যমে প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, মার্চ মাসের শেষে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১.৪৮ টাকা, যা বিগত বছর এই সময় ছিল ১.৪৬ টাকা। বাৎসরিক মূলধন অনুপাতে আয় (রিটার্ন অন ইক্যুয়িটি) এবং সম্পদ অনুপাতে আয় (রিটার্ন অন অ্যাসেট) হয়েছে যথাক্রমে ১৬.৮৫ শতাংশ এবং ২.০৪ শতাংশ যা গত বছর এই সময়ে ছিল ১৭.৯০ শতাংশ ও ২.২৯ শতাংশ। বুক ভ্যালু পার শেয়ার গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের ৩১.৮৭ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে এ বছরের প্রথম প্রান্তিকের শেষে ৩৪.১৫ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে।

২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু করে ঋণ সম্পদের পরিমাণ ৪.০১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮,৭৩০ কোটি টাকায়। এই অর্জন এসএমই, কনজুমার ও কর্পোরেট পোর্টফলিওর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে , যাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ ক্ষেত্রে বৃদ্ধির পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে ৪, ৬ ও ৩ শতাংশ। আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের (স্বতন্ত্র) বর্তমান ঋণের মধ্যে ৪২ শতাংশ এসএমই, ৩৪ শতাংশ কনজুমার ও ২৪ শতাংশ কর্পোরেট পোর্টফলিও দ্বারা গঠিত। মন্দ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২.২৯ শতাংশে। যা বিগত বছরে একই সময়ে ছিল ২.৮ শতাংশ।

আইডিএলসির পুঁজিবাজার ভিত্তিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোর নিট আয় বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। এই নিট আয় হ্রাসের পেছনের অন্যতম কারণ হচ্ছে বিনিয়োগজনিত আয় হ্রাস পাওয়া।

এমডি ও সিইও আরিফ খান

গ্রুপ আইডিএলসি সম্প্রতি আইডিএলসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের বিকল্প বিনিয়োগ লাইসেন্স এর মাধ্যমে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রাজস্বের আরও উন্নতির আশা ব্যাক্ত করে।

আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও আরিফ খান প্রথম প্রান্তিকের ফলাফলের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাজারের তারল্য সংকট ও সুদের হার সম্পর্কে সতর্ক থাকা সত্ত্বেও আমরা ১০ শতাংশ নন- ব্যাংক ডিপোজিট বৃদ্ধির মধ্যদিয়ে আমাদের ঋণ ও ডিপোজিট পোর্টফলিও বজায় রাখতে পেরেছি।

সামগ্রিকভাবে টার্ম ডিপোজিট আমাদের মোট তহবিলের ৮৭ শতাংশ দখল করে। এসবের সমন্বয় আমাদেরকে বাজারের এই দুরবস্থাতেও তারল্য সংকট সহজে মোকাবিলা করার পাশাপাশি ব্যবসা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে।

আরিফ খান আরও বলেন, বছরের বাকি সময়গুলোতে আমরা আরও সাফল্য আশা করছি মূলত আমাদের সম্পদ ভিত্তিতে সমন্বয় সাধন, মধ্যম মেয়াদী ফান্ডের তুলনামূলক হার এবং অন্যান্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে। আমরা শেয়ারহোল্ডারদের সর্বোচ্চ রিটার্নের জন্য শেয়ার বাজারে দক্ষতার সাথে বিনিয়োগ করে যাচ্ছি। এসবের সাথে সাথে সমাজের প্রতিও আমাদের দায়িত্ব আমরা পালন করে যাচ্ছি।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ মে ১৫,২০১৯)