দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : কুমিল্লার সদরে এবং কক্সবাজারের টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশের দাবি, নিহত দু’জনই মাদক ব্যবসায়ী।

বুধবার (১৫ মে) দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ভোর পর্যন্ত এ দু’টি পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লা : কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শহিদুল ইসলাম ওরফে কুটু নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। কুটু মাদক ও অস্ত্রসহ ১২ মামলার আসামি।

বৃহস্পতিবার ভোরে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার সাতরা গ্রামে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত শহিদুল ওই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরি একটি একনলা বন্দুক ও ৩টি কার্তুজ এবং ৬৫২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ জানায়, তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলাম কুটুর (৩০) বাড়িতে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী শহিদুল ও তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসী শহিদুল গুলিবিব্ধ হয়ে আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, নিহত শহিদুল ইসলাম কুটু পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানায় ১০-১২টি মামলা রয়েছে।

কক্সবাজার : কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের দাবি, নিহত ব্যক্তি একজন মাদক ব্যবসায়ী।

বুধবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং বেড়িবাঁধের ৪ নম্বর স্লুইচ গেইট এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।

নিহত সিরাজ মিয়া (৪০) টেকনাফের সাবরাং আচারবনিয়া এলাকার ফজল আহমদের ছেলে।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ দাবি করেন, মিয়ানমার থেকে নাফ নদী হয়ে ইয়াবার চালান প্রবেশের গোপন সংবাদ পেয়ে টেকনাফ থানার পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা যৌথভাবে অভিযান চালায়। এ সময় সাবরাং বেড়িবাঁধের নাফ নদীর ৪ নম্বর স্লুইচ গেইট এলাকায় পৌঁছলে একদল ইয়াবা কারবারি যৌথ বাহিনীর উপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ-বিজিবির সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়।

‘একপর্যায়ে নৌকা নিয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাঁর পরিচয় শনাক্ত করেন স্থানীয়রা।’

ওসি আরো বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে যৌথবাহিনী ৫০ হাজার ইয়াবা, দুইটি বন্দুক ও ৬৫টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ১৬, ২০১৯)