দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাচারের সময় ৮৪ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও পুলিশ; আটক করা হয়েছে মানব পাচারকারী দলের পাঁচজনকে।

সেইন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ সৈকত এলাকা ও পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া ঘাট থেকে শুক্রবার মধ্যরাতে এই রোহিঙ্গাদের উদ্ধার ও পাচারকারীদের আটক করা হয়।

কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম ফয়জুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ‘একটি মানবপাচারকারী চক্র অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় কিছু লোক পাচার করছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেইন্ট মার্টিনের দক্ষিণ বিচ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ মানবপাচারকারীকে আটক এবং ১৭ জন রোহিঙ্গা সদস্যকে উদ্ধার করা হয়।’

উদ্ধার রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশুসহ ১০ জন পুরুষ ও সাতজন নারী রয়েছেন।

মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে শরণার্থী জীবন কাটাচ্ছেন। তারা মানবপাচারকারীদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্যবস্তেু পরিণত হয়েছে।

উদ্ধার ১৭ রোহিঙ্গা এবং আটক ৫ দালালকে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা ফয়জুল।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন, ‘পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। রোহিঙ্গা সদস্যদেরকে আদালতে উপস্থিত করে তাদের নিজ নিজ ক্যাম্পে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।’

অন্য ৬৭ জনকে আটক করা হয় পেকুয়ার উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া ঘাট থেকে।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য পেকুয়ার উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া ঘাটে কিছুসংখ্যক লোকজনকে জড়ো করা হয়েছে বলে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে যায়।

এ সময় পুলিশের উপস্থিতির টের পেয়ে পাচারকারী দলের সদস্যরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে ৬৭ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে।

ওই রোহিঙ্গাদের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, তারা সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য জড়ো হয়েছে বলে স্বীকার করেছে। এতে তারা পাচারকাজে জড়িত বাংলাদেশি চার দালালের নাম পুলিশের কাছে প্রকাশ করে। দালালরা হলেন পেকুয়ার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ টিটু, আব্দুল গনি, মোহাম্মদ মনসুর ও মোহাম্মদ মেজবাহ।

এসব রোহিঙ্গাকে আবার তাদের শরণার্থী শিবিরে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ১৮, ২০১৯)