দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: চলতি বছরের হজ ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি শুরু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সোমবার থেকে হজ ফ্লাইটের টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ।

তিনি বলেন, ‘এ বছর হজে যাবেন এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে ৬৩ হাজার ৫৯৯ জনকে পরিবহন করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।’

আগামী ৪ জুলাই থেকে বিমানের হজ ফ্লাইট শুরু হবে। এরপর ৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৫৭টি ডেডিকেটেড ও ৩২টি শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। এ বছরই প্রথম ঢাকা থেকে মদিনায় ১১টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দা ১০টি, সিলেট থেকে জেদ্দা ৩টি, চট্টগ্রাম থেকে মদিনা ৭টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। বাকি ১২৬টি ফ্লাইট ঢাকা থেকে জেদ্দায় নিয়ে যাবে হজযাত্রীদের। হজ ফ্লাইটে নিজস্ব বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ ব্যবহার করবে বিমান। ফিরতি হজ ফ্লাইট ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ১৪ সেপ্টেম্বর।

সূত্র জানায়, এ বছরই প্রথম ঢাকায় ইমিগ্রেশন করা হবে হজযাত্রীদের। ফলে সৌদি আরবে গিয়ে ইমিগ্রেশনের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না তাদের।

তবে এ কারণে ফ্লাইটের একদিন আগেই হজযাত্রীদের তথ্য সৌদি আরবে পাঠাতে হবে। ওই সময়ের পর ফ্লাইটে নতুন করে যাত্রী নেয়া যাবে না। এ কারণে হজ এজেন্ট ও যাত্রীরা তাদের ফ্লাইট ডিপার্চারের ২৪ ঘণ্টা আগেই যাত্রার বিষয়টি আবশ্যিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

নির্ধারিত শিডিউলের বাইরে অতিরিক্ত স্লট দেবে না সৌদি সরকার। জটিলতা এড়াতে এ বছর কোনো যাত্রী হজ ফ্লাইটের যাত্রা বাতিল করলে বা সময় পরিবর্তন করলে জরিমানা আদায় করবে বিমান।

যাত্রা বাতিলের ক্ষেত্রে ৩৫০ ইউএস ডলার এবং যাত্রা তারিখ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সময় ভেদে ২০০ থেকে ৩০০ ডলার দিতে হবে।

গতবছর পর্যাপ্ত হজযাত্রী না পাওয়ায় বিমানের বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছিল। এজন্য কয়েক হাজার আসনের আয় হারাতে হয়েছে বিমানকে। বারবার তাগাদা দেয়ার পরও হজ এজেন্সিগুলো যথাসময়ে টিকিট না কেনায় একের পর এক ফ্লাইট বাতিল করতে হয় বলে তখন জানিয়েছিলেন শাকিল মেরাজ।

এবারও সুষ্ঠুভাবে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করতে বিমানের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, হজ এজেন্সি ও হজযাত্রীরা সময় মতো টিকিট সংগ্রহ করলে কোনো ধরনের জটিলতা হবে না।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ২০, ২০১৯)