দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণে চলতি বছর ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত সারা দেশের প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। মোবাইল ফোন থেকে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে এসব আবেদন করা হয়েছে। পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জ করে এটি রেকর্ড সংখ্যক আবেদন বলে বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।

বোর্ড সূত্রে আরও জানা যায়, এবার দশটি বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ৫৮ হাজার ৭০, চট্টগ্রামে ১৯ হাজার ১৮৩টি, রাজশাহীতে ১৫ হাজার ১৭৩, দিনাজপুরে ১২ হাজার ৫৪০, সিলেটে ১০ হাজার ৫৪১টি, বরিশালে সাড়ে ৮ হাজার ৪৮০, মাদরাসায় ১১ হাজার ৭৪৫ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছে খাতা পুনঃনিরীক্ষার জন্য।

অপরদিকে এক-একজন শিক্ষার্থী একাধিক বিষয়ের ফল চ্যালেঞ্জের কারণে উত্তরপত্রের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৯১১টিতে। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ১ লাখ ৪০ হাজার ৯২৩টি, বরিশালে সাড়ে ১৫ হাজার ৫২৭, চট্টগ্রামে ৪৪ হাজার ২৯৭টি, দিনাজপুরে ২৬ হাজার ৯২৫, রাজশাহীতে ৩০ হাজার ২৩১, সিলেটে ১৮ হাজার ৯১০টি, মাদ্রাসায় ২৩ হাজার ৭২৪টি পত্রের খাতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, পাবলিক পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষার ক্ষেত্রে সবকটি উত্তরে নম্বর দেওয়া হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে (কম্পিউটারে ফল প্রণয়নে পাঠযোগ্য ফরম) উত্তোলনে ভুল হয়েছে কিনা এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট ঠিক আছে কিনা এসব বিষয় দেখা হয়। তবে সেই খাতায় নতুন করে কখনো নম্বর দেওয়া হয় না।

গত ৬ মে ফল প্রকাশের পরদিনই শুরু হয় খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন প্রক্রিয়া। চলে ১৩ মে পর্যন্ত। আবেদনকারীরা ফল জানতে পারবে আগামী ২ জুনের মধ্যে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, বরাবরের মতো অনেক পরীক্ষার্থী নিজেদের ফলে সন্তুষ্ট না হয়ে পুনঃনিরীক্ষার জন্য আবেদন করেছেন। নিময় অনুযায়ী এসব খাতা নতুনভাবে নিরীক্ষা করা হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ২১, ২০১৯)