দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে কেন্দ্র করে মধুর ক্যান্টিনে সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার সাময়িক বহিষ্কৃত হন সংগঠন সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা জারিন দিয়া। এ খবর পেয়ে স্লিপিং পিল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, সোমবার (২০ মে) ছাত্রলীগ থেকে একজনকে স্থায়ী, চারজনকে সাময়িক বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি। জারিন দিয়া সাময়িক বহিষ্কৃতদের মধ্যে অন্যতম। পদবঞ্চিতরা জানিয়েছেন, মধুর ক্যান্টিনে হামলার শিকার এবং উপরন্তু বহিষ্কারের ঘটনা সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।

রানা হামিদ নামে ছাত্রলীগের সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক বলেন, রাত দুটা থেকে আড়াইটার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওয়াশ করা শেষে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, রাতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জারিন দিয়া নামের এক ছাত্রী ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে আসেন। পরে তাকে স্টমাক ওয়াশ দিয়ে ৫০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎক জানিয়েছেন, আগামী চব্বিশ ঘণ্টা জারিনকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ এক সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির পদবঞ্চিত একটি অংশ সন্ধ্যায় বিক্ষোভ ও পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করতে যায় মধুতে। এসময় তাদের ওপর পদপ্রাপ্ত ও তাদের সমর্থকরা হামলা করে। এতে রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী দিশাসহ ৫-৭জন আহত হয়। এই ঘটনায় তিন সদস্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশ অনুসারে পাঁচজনকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ২১, ২০১৯)