দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মাদকের কারণে সড়কে অনেক বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটে উল্লেখ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘মাদকাসক্ত কোনও লোক গাড়ির চালক বা হেলপার হতে পারবে না। এ বিষয়ে পরিবহন মালিক শ্রমিককে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

শনিবার (২৫ মে) রাজধানীর মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আয়োজিত ট্রাফিক সচেতনতা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

পরিবহন মালিকদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মাদকাসক্ত কোনও চালক বা হেলপারের হাতে গাড়ি তুলে দেবেন না। কোনও চালককে বা হেলপারকে দেখার পর যদি আপনাদের মনে হয় সে মাদকাসক্ত তাহলে তার ডোপ টেস্ট করান। এ বিষয়ে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করবো।’

যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে যে ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এর বেশি যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া যাবে না। আর যদি কেউ এটি অমান্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

রমজানে রাজধানীর নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রমজানের ১৯ দিনে রাজধানীতে কোনও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। আমরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি। মানুষ নিরাপত্তার সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত ঈদ কেনাকাটা করে নিরাপদে বাড়ি ফিরছে। কারণ আমরা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে সামনের দিনগুলোতে বিভিন্ন টার্মিনালে হকারের বেশে অজ্ঞান পার্টির লোকজন ঢুকতে পারে। তাদের বিষয়ে আমরাও সতর্ক রয়েছি। কিন্তু যাত্রী এবং পরিবহন কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঈদযাত্রার সময় রাজধানীর যেসব পয়েন্ট হয়ে গাড়ি বের হয় এবং প্রবেশ করে সেগুলো ফাঁকা ও যানজটমুক্ত রাখতে হবে। তাহলে গাড়ি খুব দ্রুত যাত্রী নিয়ে প্রবেশও করতে পারবে, সঙ্গে বেরও হতে পারবে। এতে করে ঈদ যাত্রার ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ২৫, ২০১৯)