পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ৩৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মঈনুল হাসান এ তথ্য জানান।

তিনি আরও জানান, পাবলিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ আইনে আটকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সঙ্গে কারা জড়িত তা পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

পুলিশ সুপার জানান, পটুয়াখালী শহরের ছোট চৌরাস্তা কালিকাপুর এলাকা থেকে পাঁচজন, পটুয়াখালী সরকারি কলেজের সামনে থেকে ১৪ জন, আব্দুল করিম মৃধা কলেজের সামনে থেকে চারজন, পটুয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তিনজন, পিটিআই পটুয়াখালীর সামনে থেকে একজন, ওয়াজদিজিয়া দাখিল মাদরাসার সামনে থেকে তিনজন, চরপাড়া মাদরাসার সামনে থেকে দুজন, পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী স্কুলের সামনে থেকে একজনসহ মোট ৩৩ জনকে আটক করা হয়।

পটুয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জাকির হোসেন জানান, শুক্রবার সকালে শহরের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে ও পরে সদর থানা পুলিশ এবং গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা ওই ৩৩ জনকে আটক করে। আটকদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র এবং ৪০টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। এই চক্রটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে উত্তরপত্র সরবরাহ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম এবং পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।

এর আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস চেষ্টা এবং পরীক্ষায় অসদুপায়ের অভিযোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সেচ্ছাসেবকসহ ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। শুক্রবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের দরবার হলে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল হাফিজ এ তথ্য জানান।

দণ্ডপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সেচ্ছাসেবকরা হলেন- মো. দিপু সিকদার (২৪) ও মো. সাইফুল মৃধা (২৫)।

অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল হাফিজ জানান, রাতে অফিসাররা দরবার হলের গোপন কক্ষে কাজ করছিল। সাহরির সময় ওই দুইজন খাবার নিয়ে আসে। পরে দরবার হলের গোপন কক্ষে প্রবেশের দায়ে তাদের আটক করে প্রত্যেককে একমাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে অসাদুপায় অবলম্বনের দায়ে ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ৩১, ২০১৯)