দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ওপার বাংলায় কণ্ঠ সিনেমা দিয়ে দাবিয়ে বেড়াচ্ছেন জয়া আহসান। বৃষ্টির মধ্যেও দর্শকে ভরপুর হলগুলো। নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নতুন এ ছবিটি টানা পঁচিশ দিন ধরে কলকাতার বেশির ভাগ প্রেক্ষাগৃহই হাউসফুল।

কণ্ঠে জয়া অভিনয় করেছেন একজন স্পিচ থেরাপিস্ট হিসাবে। এনডিটিভির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে চরিত্রটি নিয়ে জয়ার প্রস্তুতির বিষয়টি ওঠে আসে, সেই সঙ্গে ছবিটির সাফল্যে তার প্রতিক্রিয়াও।

টানা ২৫ দিন ধরে জয়া আহসান মানে রুমিলা নাম জপছে দর্শক। কেমন লাগছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে জয়া বলেন, “এটাই তো চাই। দর্শক আমার আসল নাম ভুলে যাক। চরিত্রের নাম ধরে ডাকুক। একটা ছবি থেকে এটাই আমাদের পাওনা।”

স্পিচ থেরাপিস্ট রুমিলা চরিত্রটিকে নিজের মধ্যে কীভাবে ধারণ করলেন, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রুমিলা হয়ে উঠতে বাড়তি হোমওয়ার্ক করেছি। যেমন, যন্ত্র দিয়ে কথা বলা অভ্যাস করতে স্পিচ থেরাপিস্ট সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বসতে হয়েছে। ল্যারিঙ্স ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে কথা বলা। তাদের লড়াইকে সামনে থেকে দেখা। তাদের অভিজ্ঞতা জানা। তাদের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে আলাপ করা। এই সবটাই আমাকে রুমিলা হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে।”

এ সিনেমা করতে গিয়ে জীবন সম্পর্কে উপলব্ধিতেও পরিবর্তন আসে জয়ার। বিশেষ করে ক্যানসার রোগীদের লড়াই যেন কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। এ অভিনেত্রী বলেন, “স্রষ্টা বা প্রকৃতির দেওয়া জীবনীশক্তির ওপরে কিছুই নয়। এই ধ্রুব সত্যটাই দেখিয়েছে কণ্ঠ। সেটা আমিও ছবি করতে গিয়ে খুব কাছ থেকে জানলাম, দেখলাম, অনুভব করলাম।”

সিনেমার মূল চরিত্র অর্জুন (শিবপ্রসাদ) আদতে একজন কণ্ঠশিল্পী, রেডিও জকি। একদিন হঠাৎই ধরা পরে তার ল্যারিঙ্স ক্যানসার। তার স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন আরেক নায়িকা পাওলি ধাম। তার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারিং কেমন ছিল, সে প্রসঙ্গে জয়া বলেন, “পাওলির সঙ্গেই আমার প্রথম শট ছিল। প্যাকআপের পর বা সেটে কাজের ফাঁকে আমরা মজা করতাম। আড্ডা দিতাম। তার থেকেও বড় ব্যাপার, পাওলির মতো উঁচু মাপের অভিনেতার সঙ্গে কাজ করা মানে নিজেকে সমৃদ্ধ করা। নিজের অভিনেতার মানটা বাড়ে।”

বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে আমার দ্বিতীয় প্রযোজনার কাজ চলছে। পাইপলাইনে প্রচুর ছবি আছে। শুটিং চলছে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে কিছু ছবি। আর কলকাতায় আমি অতনু ঘোষের ‘বিনি সুতো'য় কাজ করছি।”

সর্বশেষে, বিয়ে কখন করছেন এমন প্রশ্নে জয়া বলেন, “মায়ের কাছেই তো বেশ আছি। এক্ষুনি বিয়ে, স্বামী.... থাক না!”
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ জুন ০৪,২০১৯)