দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে কাতারে যাওয়ার ঘটনায় একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার।

শুক্রবার (৭ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ তদন্ত কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করা হয়। চার সদস্যের এ তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মাৎ নাসিমা বেগম।

কমিটিকে বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করে তিন কর্মদিবসের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

তদন্ত কমিটি গঠনের আদেশে বলা হয়েছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ চৌধুরী গত ৫ জুন সাড়ে চারটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নম্বর বিজি-১২৫ যোগে ঢাকা থেকে দোহা ভ্রমণকালে দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাসপোর্টবিহীন অবস্থায় কাতার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে আটক হন। অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ক্যাপ্টেনের পাসপোর্টবিহীন বিমানে ভ্রমণ এবং ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি তদন্ত করার জন্য সরকার এ আন্তঃমন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

তদন্ত কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম-সচিব (রাজনৈতিক-৪) মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী।

রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম-সচিব (রাজনৈতিক-১) মো. জাহাঙ্গীর আলম কমিটিতে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

তদন্ত কমিটিতে ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ চৌধুরীর পাসপোর্টবিহীন অবস্থায় দোহা ভ্রমণের কারণ অনুসন্ধান, এ ঘটনায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়ে দায়-দায়িত্ব নিরূপণ এবং বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের কার্যপদ্ধতি ত্রুটি নিরূপণ করতে বলা হয়েছে আদেশে।

ফিনল্যান্ড সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে গত বুধবার রাতে বিমানের একটি ফ্লাইটে করে ঢাকা ছেড়ে কাতারের উদ্দেশে রওনা হন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। কিন্তু পাসপোর্ট না থাকায় দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানের স্টাফদের জন্য নির্ধারিত হোটেলে যেতে পারেননি তিনি। এরপর কাতার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

তবে ফজল মাহমুদ দাবি করেন, তাকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। ভুলবশত সঙ্গে পাসপোর্ট না নেয়ায় তিনি বিমানবন্দরের ট্রানজিট হোটেল অরিক্স এয়ারপোর্ট হোটেলে ছিলেন। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে যাওয়া তার পাসপোর্টটি নিয়ে সহজভাবে ইমিগ্রেশন পার হয়ে বিমান নির্ধারিত ক্রাউন প্লাজা হোটেলে গিয়ে ওঠেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুন ০৭, ২০১৯)