দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশে থেকে কম খরচে টাকা পাঠাতে ও বৈধ পথে অর্থ প্রেরণ উৎসাহিত করতে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু তার অসুস্থতার কারণে বাজেটের বাকি অংশ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রবাসী আয় পাঠানোর ক্ষেত্রে বাড়তি ব্যয় কমানো এবং বৈধ পথে অর্থ প্রেরণ উৎসাহিত করতে প্রস্তাবিত বাজেটে ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

এর ফলে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসার পরিমাণ বাড়বে এবং হুন্ডি ব্যবসা নিরুৎসাহিত হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

এ ছাড়া প্রবাসী কর্মীদের বিমা সুবিধায় আনার কথাও বলা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।

প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বিমা সুবিধা না থাকায় দুর্ঘটনা ও নানাবিধ কারণে প্রায়ই তাদের পরিবার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এ জন্য প্রবাসী কর্মীদের বিমা সুবিধায় আনতে আগামী অর্থবছর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। শুরুতে দাঁড়িয়ে বাজেট বক্তৃতা শুরু করলেও পরে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে অসুস্থ অর্থমন্ত্রী নিজ আসনে বসে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পেশ করছেন।

এর আগে মন্ত্রিসভা ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের অনুমোদন দেয়। বাজেট ঘোষণার আগে দুপুর ১টার একটু পর জাতীয় সংসদ ভবনে বিশেষ বৈঠকে মন্ত্রিসভা এ অনুমোদন দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার এ বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুন ১৩, ২০১৯)