দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ওমান উপসাগরে দু'টি তেলের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বৃহস্পতিবার এই ‘অনর্থক হামলা’র জন্য ইরানের ওপর দোষ চাপিয়েছেন।

তবে ইরানের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তেলের দুই ট্যাঙ্কারে তারা হামলা চালায়নি। তারা সুনিশ্চিতভাবেই এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

পম্পেও বলেন, ওই হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখবেন গোয়েন্দারা। সেখানে কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে তা খুঁজে বের করা হবে।

তবে ইরান এ ধরনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে। ইরানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এর আগে বলেছিলেন, ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে ইরানের কোন সম্পর্ক নেই।

বিস্ফোরণের পর জাপানের মালিকানাধীন কোকুকা এবং নরওয়ে কোম্পানির ফ্রন্ট আল্টেয়ার থেকে ৪৪ জন ক্রু সদস্যকে উদ্ধার করা হয়। ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই দাবী করছে যে, তারা ওই ক্র সদস্যদের উদ্ধার করেছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের ইরানি মিশনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ১৩ জুন দু’টি তেলের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ভিত্তিহীন অভিযোগ সুস্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছে ইরান। একই সঙ্গে তারা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দরে চারটি তেলের ট্যাঙ্কারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের প্রায় এক মাস পর ওমান উপসাগরে তেল ট্যাঙ্কারে এই হামলার খবর এলো।

এর আগে গত ১২ মে ফুজাইরাহ বন্দরে সৌদি আরবের দুটি, আমিরাত এবং নরওয়ের একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ হয়। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং এর উপসাগরীয় মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের বৈরী সম্পর্কের মধ্যেই এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইরানের ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুন ১৪, ২০১৯)