দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বিশ্বকাপ থেকে একেবারেই ছিটকে গেলেন শিখর ধওয়ন। চার বছর ধরে তিলে তিলে যে স্বপ্ন গড়ে তুলেছিলেন বাঁ হাতি ওপেনার, তা মুহূর্তেই ভেঙে গেল। মাত্র দুটো ম্যাচ খেলার পরেই বিশ্বকাপ থেকে বেরিয়ে যেতে হল ধওয়নকে।

ধওয়নের চোট ভাগ্য খুলে দিল ঋষভ পন্থের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে নেথান কুল্টার নাইলের হঠাৎই লাফিয়ে ওঠা একটা বল ধওয়নের বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলে লাগে। তিন সপ্তাহের জন্য বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে অবশ্য জানানো হয়েছিল, ধওয়নের চোটের অবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। দিন ১০-১২ পরে ধওয়নের চোটের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বুধবার জানিয়ে দেওয়া হল, ধওয়নের চোট সারেনি। বিসিসিআই-এর তরফ থেকে টুইট করে জানিয়ে দেওয়া হল, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সেরে উঠতে উঠতে জুলাইয়ের মাঝামাঝি হয়ে যাবে ধওয়নের। ফলে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেল ধওয়নের। তাঁর পরিবর্তে দরজা খুলে গেল পন্থের। অথচ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল ঘোষণার সময়ে দেশের নির্বাচকরা বাঁ হাতি পন্থকে দলেই রাখেননি। অভিজ্ঞতার দোহাই দিয়ে বাঁ হাতি প্রতিভাবানকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল।

পন্থের পরিবর্তে অভিজ্ঞ দীনেশ কার্তিককে দলে নেওয়া হয়েছিল। হঠাৎই পরিস্থিতি বদলে যায়। অস্ট্রেলিয়া-ম্যাচে ধওয়নের চোট পন্থের জন্য বিশ্বকাপের দরজা খুলে দেয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পন্থকে দেশ থেকে উড়িয়ে আনা হয় কভার হিসেবে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ বৃষ্টির জন্য ভেস্তে যাওয়ায় টিম ম্যানেজমেন্ট ‘ধীরে চলো’ নীতি নেয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ধওয়নকে দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে দেখা যায়। ধওয়নের পরিবর্তে তৈরি রাখা হচ্ছিল পন্থকে। এ দিন সরকারি ভাবে জানিয়ে দেওয়া হল ধওয়নের পক্ষে আর ফেরা সম্ভব হবে না।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুন ১৯,২০১৯)