দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: টানা নয় আসর খেলার পর এবার বিশ্বকাপ খেলা থেকে বাদ পড়েছে জিম্বাবুয়ে। বাছাইপর্বে বাচা-মরার লড়াইয়ে আফগানিস্তানের কাছে হেরে বিশ্বকাপে খেলতে ব্যর্থ হয় আফ্রিকার দেশটি। তাই ক্রিকেটে তাদের বর্তমান অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। এরই মধ্যে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড ভেঙে দেয়ার ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার।

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গিভমোর মাকোনিসহ অন্যান্য পদে কর্মরত সবাইকে বহিষ্কার করেছে স্পোর্টস এন্ড রিক্রিয়েশন কমিটি (এসআরসি)। তাদেরকে সরিয়ে বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান করা হয় তাবেঙগোয়া মুকুলানিকে।

এছাড়াও অন্যান্য পদে নতুন ভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ডেভিড এলমেন-ব্রাউন, আহমেদ ইব্রাহিম, চার্লি রবার্টসন, কিপ্রিয়ান মান্দেঙ্গে, রবার্টসন চিনিয়েঙ্গেতেরে, সেকেসাই নোকোয়ারা এবং ডানকান ফ্রস্টকে।

আগের কর্মকর্তাদের কারণে বহু বছর ধরেই নানান বিতর্কে জড়িয়ে ছিল জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড। এমনকি ক্রিকেটে কোন উন্নতি না করার অভিযোগও আসে তাদের বিপক্ষে। সেই অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এক বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ডের সব কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় স্পোর্টস এন্ড রিক্রিয়েশন কমিটি।

সেই বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়, ‘গত কয়েক বছর ধরেই নানান বিতর্কে জড়িয়ে পরেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। তাদের বিপক্ষে ক্রিকেটে উন্নয়নের ঘাটতি এবং বোর্ডের নিয়মকানুন অবজ্ঞার অনেক অভিযোগ আসতে থাকে পুরো দেশ জুড়ে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরো লেখা থাকে, ‘ব্যাপারটা হচ্ছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের পূর্ণ সদস্য। এর মানে এটা নয় যে, তারা জিম্বাবুয়ের আইনের বাইরে। বিশেষ করে এসআরসি আইনের অধীনে আছে তারা।’

পদ হারানোর পর এক বক্তব্যে এসআরসির কঠিন সমালোচনা করেন গিভমোর মাকোনি। তার মতে, এসআরসি তাকে দিয়ে বেআইনি কাজ করাতে চায়। তিনি বলেন, ‘এসআরসির নির্দেশ পুরোপুরিভাবে আইনের বাইরে এবং তারা আমাদের জোর করছে বেআইনি কাজ করার জন্য।’

এমন তুলকালাম কাণ্ড ঘটে যাওয়ার পর এই বিষয় নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি। ধারণা করা হচ্ছে, সামনে জুলাই মাসের বার্ষিক কনফারেন্সে এই বিষয়ে কথা বলবে তারা।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুন ২২, ২০১৯)