দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি করতে চাচ্ছেন আইনজীবীরা। খালেদা জিয়ার সিনিয়র আইনজীবীরা রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে বিষয়টি উপস্থাপন করবেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি করতে চাই। তাই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও এ জে মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে একটি আইনজীবী প্যানেল রোববার (আজ) সকালে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুছ জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে যাবেন। তারা খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদনটি শুনানির জন্য বিষয়টি উপস্থাপন (ম্যানশন স্লিপ) করবেন। এর আগে বৃহস্পতিবার এ মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া সাজার সংশ্লিষ্ট সব নথিপত্র হাইকোর্টে আসে। গত ৩০ এপ্রিল সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য এ মামলার সব নথি তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশ মোতাবেক ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালত থেকে এ নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা প্রায় সোয়া ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে খালেদা জিয়াসহ চার আসামির সবাইকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে গত বছর ২৯ অক্টোবর রায় হয়। পাশাপাশি তাদের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। আর ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয় রায়ে।

ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করেছিলেন।

রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পাওয়ার চার দিন পর গত বছর ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ৬৩৮ পৃষ্ঠার মূল রায়সহ প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার এই আপিলের সঙ্গে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনও করা হয়।

গত ৩০ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে দেয়া দণ্ড বাতিল ও খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুছ জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। পাশাপাশি বিচারিক আদালতের রায়ে দেয়া অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের আদেশে স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আদালত। তবে এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি শোনেননি আদালত। জামিনের আবেদনটি নথিভুক্ত করে দু’মাসের মধ্যে মামলার নথি তলব করা হয়। নথি পাওয়ার পর জামিনের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে। শুনানিতে জামিনের বিষয়ে আদালত বলেন, সাত বছরের সাজার মামলায় আমরা জামিন দেই না, তা না। যেহেতু অন্য একটি মামলায় উচ্চতর আদালত সাজা বাড়িয়ে দিয়েছেন। ওই মামলায় জামিন না হলে তিনি মুক্তি পাবেন না। ফলে বিষয়টি জরুরি দেখছি না। নথি আসুক, তখন জামিনের আবেদনটি দেখা হবে। এ মামলায় রেকর্ড না দেখে বেইল দিচ্ছি না। খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল তখন বলেন, আবেদনটি একটু শোনেন মাই লর্ড, না শুনলে আমরা হতাশ হব। তখন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, না শুনতে পারব না। শুনলে আদেশ দিতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুন ২৩, ২০১৯)