দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : অনেক দিন পর মাশরাফি বিন মতুর্জার অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যে উইকেটে রশিদ খান-মুজিব উর রহমানরা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ঘাম ঝড়িয়েছেন সেখানে কিনা টানা দশ ওভার পেসারদের দিয়ে বলা করালেন ম্যাশ। মাশরাফির মনে নিশ্চয় অন্য কোনো পরিকল্পনা কাজ করছিল। তবে ১০ ওভার শেষে আফগানদের রান যখন ৪৮, তখন চেতন ফিরে পান মাশরাফি। আর কোনো ভুল করেননি তিনি। প্রধান সেনাপতিকেই সাকিব আল হাসানকে আক্রমণে ফিরিয়ে আনেন তিনি।

প্রথম ওভারেই মাশরাফির মুখে হাসি ফোটান সাকিব। দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা রহমত শাহকে ফিরিয়ে দেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ২৪ রান করেন রহমত। অন্যপ্রান্ত দিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজকেও নিয়ে আসেন মাশরাফি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে সাকিব দিলেন এক রান। পরের ওভারটা যথারীতি করলেন মিরাজই।

হুট করেই সাকিবকে আক্রমণ থেকে সরিয়ে দিলেন মাশরাফি। আনলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। তাকে দিয়ে করালেন টানা পাঁচ ওভার। সাকিবের ওপর থেকে চাপ কমাতেই বোধ হয় সৈকতকে আনা। হতাশ করেননি তরুণ এই অলরাউন্ডার। তুলে নেন হাশমতুল্লাহ শাহেদিকে।

টানা সাত ওভার বল করা মিরাজকে বিশ্রাম দিতে আবার সাকিবকে আনলেন মাশরাফি। দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম দুই ওভারে দিলেন মাত্র দুই রান। তৃতীয় ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়টা প্রায় নিশ্চিত করেই ছাড়লেন সাকিব। এই ওভারে সাকিব ফেরান অধিনায়ক গুলবদিন নাইব ও মোহাম্মদ নবীকে।

ব্যাট হাতে ৫১ রান করার পর বল হাতে প্রথম ৫ ওভারের মধ্যেই চার উইকেট। বিশ্বকাপের ইতিহাসের এমন অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স বিরল। ব্যাট হাতে সাকিব মানে নির্ভরতা। বল হাতে সাকিব অর্থ ধ্বংস। এবারের বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে করেছেন ৪৪৭ রান। বল হাতে নিয়েছেন ৮ উইকেট। বিশ্বকাপে হাজার রান ও ত্রিশ উইকেট নেওয়া একমাত্র ক্রিকেটার হলেন বাংলাদেশি এই ক্রিকেটার। সাধেই কি আর তাকে সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার বলা হচ্ছে!

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুন ২৪,২০১৯)