দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ভারতের সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ভাঙর আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী টালিউড অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী জয়ী হয়েছেন। নির্বাচনী ফল প্রকাশের প্রায় এক মাস পর বিজয় উৎসব করেছেন টালিউডের এই অভিনেত্রী। কিন্তু তার বিজয় উৎসব ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। মিমির ওই উৎসবে কলকাতা থেকে বার ড্যান্সার এনে চটুল গানে অশ্লীল নৃত্যের অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার রাতে ভাঙড়ের নিমকুড়িয়া গ্রামে ওই অনুষ্ঠান হয়। পুলিশের অনুমতি ছাড়াই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে চটুল নাচ চলছে; এমন অভিযোগ পেয়ে রাতেই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় কাশীপুর থানা পুলিশ। এ ব্যপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ভাঙর তৃণমূলের নেতা ওহিদুল ইসলাম। ভাঙড়েরপ তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘এর সঙ্গে দলের কেউ যুক্ত নয়। তবে ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।’

স্থানীয়রা বলছেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে নিমকুড়িয়া গ্রামে ভালো ভোট পেয়েছে তৃণমূল। তাই দলের নির্দেশে যখন বিজয় মিছিল করা নিষিদ্ধ, তখন এলাকায় একটি বিচিত্রানুষ্ঠানের দাবি জানান অনেকে। সমর্থকদের দাবি মেনে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আনসার মোল্লা প্রথমে কাওয়ালির আসর করবেন বলে রাজি হয়েও পরে বার ড্যান্সার আনার সিদ্ধান্ত নেন। অনুষ্ঠানে অশ্লীল নৃত্যের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের ওই নেতার বিরুদ্ধে।

ভারতীয় একটি দৈনিককে প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি বলেন, ‘মেয়েগুলো অর্ধ উলঙ্গ হয়ে এত বিশ্রী অঙ্গভঙ্গি করে নাচছিল যে, মনে হচ্ছিল যেন চোখের সামনে নীল ছবি দেখছি। বাচ্চা, স্কুলের শিক্ষার্থী সবাই লজ্জায় মুখ ঢাকে। অনুষ্ঠানের খবর পৌঁছায় কাশীপুর থানা পুলিশের কাছে। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়।

কাশীপুর থানার শানপুকুরে অশ্লীল নৃত্যের ঘটনায় পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুন ২৬, ২০১৯)