দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : টাইগারদের একনিষ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন ভক্তরা। স্বপ্ন দেখছেন সেমিফাইনালের। কিন্তু তাতেই হচ্ছে না, অন্য দলকেও সমর্থন দিতে হচ্ছে। ইংল্যান্ড-পাকিস্তানের মতো দলের হার কামনা করতে হচ্ছে। নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান ম্যাচেই যেমন কিউইরা ছক্কা মারলে টাইগার ভক্তরা উল্লাস করেছেন। আউটে মন খারাপ।

যদিও এজবাস্টনে বুধবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু করতে পারেনি কিউইরা। দলের ৩৮ রানে তিন এবং ৮৩ রানে ৫ উইকেট উইকেট হারায় কিউইরা। সেখান থেকে জেমি নিশাম এবং কলিড ডি গ্রান্ডহোম শতক ছাড়ানো জুটি গড়েন। দলকে এনে দেন ২৩৭ রানের পুঁজি।

সেমিফাইনালের স্বপ্ন পাকিস্তানের এখনও টিকে আছে। আর এক পা সেমিতে কিউইদের। তবে বিশ্ব মঞ্চে ভালো শুরুর পর কিউইদের খারাপ করার রেকর্ড আছে। পাকিস্তান আবার শেষ দিকে ভালো খেলে। নিউজিল্যান্ডকে শুরুতে চেপে ধরে সেই শো'ই যেন শুরু করে পাকিস্তান। শুরুতে ব্যক্তিগত ৫ রানে মার্টিন গাপটিলকে বোল্ড করেন মোহাম্মদ আমির। এরপর শাহিন আফ্রিদি একে একে তুলে নেন কলিন মুনরো, রস টেইলর এবং টম ল্যাথামকে। তাদের কেউ বিশ রানের ঘরে যেতে পারেননি।

চতুর্থ উইকেটে জিমি নিশাম এবং অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৩৭ রানের জুটি গড়েন। বিশ্বকাপে দারুণ ফর্মে থাকা কেন ৪১ রান করে ফিরে যান। পাকিস্তান লেগ স্পিনার শাদাব খানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। দলের রান তখন একশ'ও হয়নি। সেখান থেকে জিমি নিশাম এবং কলিন ডি গ্রান্ডহোম গড়েন ১৩২ রানের জুটি। দারুণ খেলতে থাকা কলিন ডি গ্রান্ডহোম ৬৪ করে রান আউট হন।

তবে জিমি নিশাম শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে তোলেন ৯৭ রান। তিনটি ছক্কার সঙ্গে তিনি পাঁচটি চারের মার মারেন। পাকিস্তানের হয়ে এ ম্যাচে তরুণ বাঁ-হাতি পেসার শাহিন আফ্রিদি ১০ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। মোহাম্মদ আমির এবং শাদাব খান নেন একটি করে উইকেট। এখন বল হাতে কিউই বোলারদের এই রান আটকানোর পালা। প্রমাণের পালা পাকিস্তানের চেয়ে তাদের বোলিং আক্রমণ কম ধারালো না।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুন ২৬,২০১৯)