দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিনিধি দীপু সারোয়ার ও এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ইমরান হোসেন সুমনকে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের জেরে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হওয়ার নোটিশ দেয়া এবং “অন্যথায় আইনানুগ কার্যধারা গৃহীত হবে”- নোটিশে উল্লেখিত এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ডিআরইউ।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি ইলিয়াস হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান আজ বুধবার এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ ও নিন্দা জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে: নেতৃবৃন্দ মনে করেন, দুর্নীতি দমনে গণমাধ্যম ও দুদক একে অপরের সহযোগি। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রতি সাংবাদিকরা সম্মান ও সমর্থন জানিয়ে আসছে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও বলে আসছেন- “গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতেই দুর্নীতিবাজ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে।” একইভাবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতেই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে দুদক।

গত ২৩ জুন ‘লন্ডন প্রবাসী দয়াছের অডিও সংলাপে দুদকের ওরা কারা?’, শিরোনামে বাংলা ট্রিবিউনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন দীপু সারোয়ার। দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ও ডিআইজি মিজানুর রহমানের ঘুষ লেনদেন নিয়ে ইমরান হোসেন সুমনের প্রতিবেদন প্রচারিত হয় এটিএন নিউজে।

প্রতিবেদন প্রচার ও প্রকাশের জের ধরে দুদক কর্তৃক সাংবাদিকদের এভাবে নোটিশের মাধ্যমে সাক্ষ্য দিতে ডাকা এবং অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি স্বাধীন সাংবাদিকতার উপর হুমকি হিসেবে মনে করছে ডিআরইউ।

দুদকের এ ধরনের নোটিশ অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মুক্ত স্বাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার পরিপন্থি দাবি করে অবিলম্বে দুদকের এ নোটিশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন ডিআরইউ নেতারা।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুন ২৬,২০১৯)